দিনে ১০ লাখ টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার গত মে ও জুন মাস জুড়ে প্রায় ৭ কোটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। চলতি মাসেও এ প্রক্রিয়া চালু আছে। এ হিসেবে এক দিনে ১০ লাখ টুইটার অ্যাকাউন্ট বাতিলের মতো উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, টুইটার মে ও জুন মাসে প্রায় ৭ কোটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। চলতি মাসেও এ প্রক্রিয়া চালু আছে। ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমে যাওয়ার আশঙ্কা সত্ত্বেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি থামছে না। তাদের লক্ষ্য ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও কম্পিউটার চালিত বট অ্যাকাউন্টগুলোকে চিহ্নিত করে বন্ধ করে দেওয়া। এর আগে অপব্যবহার রোধে টুইটার ‘অপারেশন মেগাফোন’ নামের প্রকল্প চালু করেছিল ভুয়া অ্যাকাউন্ট কিনে নিতে। টুইটারের এমন আগ্রাসী নীতি তাদের পরিচালনাগত দর্শনের সঙ্গেও খাপ খায় না। তা ছাড়া পূর্বে প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছিল, তাদের নিয়মিত ব্যবহারকারীর মাত্র ৫ শতাংশ ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে।

ওয়াশিংটন পোস্ট লিখেছে, টুইটারের সন্দেহজনক, ভুয়া ও বিতর্কিত অ্যাকাউন্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত ব্যবস্থাপনাগত সিদ্ধান্ত। এখন অ্যাকাউন্ট বাতিল করলেও আগে প্রতিষ্ঠানটি বলেছিল, নিয়মিত ব্যবহার হওয়া অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ ভুয়া বা স্পাম ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হয়। আর মাত্র ৮.৫ শতাংশ অ্যাকাউন্টে অটোমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়, যে কারণে সেগুলো বট অ্যাকাউন্ট হিসেবে চিহ্নিত।

২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রাশিয়ার ট্রোলাররা ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টুইটারকে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছে। এতে মার্কিন ব্যবহারকারীদের মধ্যে তারা ব্যাপক আকারে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পেরেছিল। অভিযোগ উঠেছে, এর প্রভাব পড়েছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে। ওই নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের তথ্য প্রকাশ করতে মার্কিন পার্লামেন্ট টুইটারের ওপর চাপ প্রয়োগ করেছিল। পরে টুইটার বাধ্য হয়ে এ সংক্রান্ত তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের সামনে হাজির করতে। এরপর থেকে দ্বিগুণেরও বেশি হারে ভুয়া ও সন্দেহজনক অ্যাকাউন্ট বাতিল করতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। সংগৃহীত তথ্য থেকে ওয়াশিংটন পোস্টে জানতে পেরেছে, এই প্রক্রিয়ায় ১ দিনে ১০ লাখ টুইটার অ্যাকাউন্ট বাতিল করার মতো উদাহরণও সৃষ্টি হয়েছে।