লালের মাঝে সবুজ সংকেত দেখছে ফেসবুক

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

যেকোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই চাইবে চীনের মতো জনবহুল দেশে তাদের কার্যক্রম বাড়াতে। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গও সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছেন প্রায় এক দশক ধরে। ২০০৯ সাল থেকে চীনে ফেসবুক নিষিদ্ধ। দেশটিতে পুনরায় সেবা চালু করতে চেষ্টার ত্রুটি করেননি মার্ক। এত দিন পর এসে অস্থায়ীভাবে হলেও লাল চীনে সবুজ সংকেত পেয়েছেন তিনি।

চীনের হাংঝৌ শহরে একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের আবেদন করেছিল ফেসবুক। চীনা সরকারের সূত্র অনুযায়ী গত বুধবার প্রতিষ্ঠানটি অনুমতি পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে তিন কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হবে বলেও জানা গেছে। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার বিষয় দেখিয়ে নিবন্ধনের ফাইলগুলো চীন সরকারের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে ফেলা হয় মঙ্গলবার।

চীনে ফেসবুকের অনুপ্রবেশ কতটা কঠিন প্রক্রিয়া, নতুন প্রতিষ্ঠানটির নিবন্ধন তাই ইঙ্গিত করে। যদিও প্রাথমিক অনুমতি মিলেছে, তবে প্রতিষ্ঠান দাঁড় করানো মোটেই সহজ কাজ হবে না। এ ব্যাপারে ফেসবুক জানিয়েছে, পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছে চীনা সফটওয়্যার নির্মাতাদের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য।

ফেসবুকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানটি হবে মূলত ইনোভেশন হাব। অর্থাৎ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সেমিনারের সাহায্যে ডেভেলপার, উদ্যোক্তা এবং ব্যবহারকারীদের এক মঞ্চে আনার চেষ্টা। যে কাজটি ফেসবুক ফ্রান্স, ব্রাজিল, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে করেছে।

এশিয়া থেকে চীনের কাছ থেকেই সবচেয়ে বেশি বিজ্ঞাপন পেয়ে থাকে ফেসবুক। কিন্তু ফেসবুকের যেকোনো ধরনের পদক্ষেপে কঠোর নিয়মের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সে জন্যই ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ চীনে নিষিদ্ধ। বর্তমান পদক্ষেপের সফলতার ওপর নির্ভর করবে মার্ক চীনের বাজার কতটুকু ধরতে পারবেন।

মারিফুল হাসান, সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস