ইয়াহুর বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ

ইয়াহু
ইয়াহু

ব্যবহারকারীর ই-মেইল স্ক্যান করে সে তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ইয়াহু কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ইয়াহু ও এওএল সেবার বর্তমান মালিক ভেরিজনের ওথের বিরুদ্ধে মেইলে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্ক্যান করার ও তথ্য বিক্রির অভিযোগ উঠে এসেছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, ক্রেতাদের পণ্য কেনাকাটার অভ্যাস, তাদের পছন্দ-অপছন্দ বা অন্য পণ্য সম্পর্কিত বিষয়গুলো জানতে ব্যবহারকারীর তথ্য কাজে লাগাচ্ছে ওথ।

ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল বলছে, ২০ কোটি ইয়াহু ব্যবহারকারীর মেইল তারা স্ক্যান করে সে তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে বিক্রি করেছে। ইয়াহু বিনা মূল্যে ব্যবহারের জন্য চালু রেখে তথ্য স্ক্যান করে মুনাফা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

ওথ কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলেছে, তারা কেবল রিটেইল ই-মেইল স্ক্যান করে থাকে।

ওথের ডেটা, মেজারমেন্ট অ্যান্ড ইনসাইট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডগ শার্প বলেছেন, কমার্শিয়াল ই-মেইল স্ক্যান করাটা তাদের ব্যবসার অংশ। এতে এ সেবা বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারেন তাঁরা। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।

শার্পের ভাষ্য, ই-মেইল অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি সেবা। তাই দেওয়া-নেওয়ার বিষয়টি যৌক্তিক ও নীতিগতভাবে ঠিক। বিজ্ঞাপন দেখে এ বিনা মূল্যে মেইল সেবা পাওয়াটা যৌক্তিক।

ক্রেতাদের আগে কেনাকাটার অভ্যাসের ওপর নির্ভর করে পাঠানো কমার্শিয়াল মেইলের মধ্যে রয়েছে রিটেলইলারদের মেইল বা প্রচারণামূলক মেইল। ব্যবহারকারী চাইলে এ ধরনের মেইল এড়াতে পারেন। অ্যাড ইন্টারেস্ট ম্যানেজার পেজ থেকে অপট আউট নির্বাচন করে দিতে পারেন। সেখানে ইওর অ্যাডভার্টাইজ চয়েসেস এবং অন ইয়াহু থেকে অপট আউট করুন। এতে মেইল স্ক্যানিং বন্ধ হবে।

যাঁরা ইয়াহু মেইলে বিরক্ত, তাঁরা চাইলে এর বিকল্প মেইলগুলো ব্যবহার করতে পারেন। গত বছর গুগল দাবি করেছিল, তারা বিজ্ঞাপন থেকে আসা মুনাফার জন্য ই-মেইল স্ক্যান করে না। মাইক্রোসফটের পক্ষ থেকেই ই-মেইল স্ক্যান না করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।