ট্রাম্পের সঙ্গে গোলটেবিলে বসছেন গুগলের প্রধান

সুন্দর পিচাই
সুন্দর পিচাই

গুগলের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিস্তর অভিযোগ। গুগল সার্চে কারসাজির মাধ্যমে ট্রাম্পের নেতিবাচক খবরগুলো বেশি করে উপস্থাপন করা হয়, রক্ষণশীলদের অনলাইন উপস্থিতি ঠিকমতো তুলে ধরে না গুগল ইত্যাদি-ইত্যাদি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউস ঘুরে গেলেন গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুন্দর পিচাই। হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের শীর্ষ অর্থনৈতিক পরামর্শক ল্যারি কুডলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গুগল ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে টানাপোড়েন কমানোর অংশ হিসেবে পিচাই এ বৈঠকে হাজির হন। এ বছরের শেষ দিকে অবশ্য ট্রাম্প প্রশাসন ও কংগ্রেসের শুনানিতে হাজির হতে হবে সুন্দর পিচাইকে।

শুক্রবারের বৈঠক সম্পর্কে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্ম ও সার্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে, এমন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া ট্রাম্প ও অন্যান্য ইন্টারনেট অংশীদারদের সঙ্গে একটি গোলটেবিলে অংশ নিতে সম্মত হয়েছেন সুন্দর পিচাই।

এর আগে গত আগস্টে গুগলসহ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ এনে সতর্ক করে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার ট্রাম্প অভিযোগ করে বলেন, গুগলসহ অন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো খুব অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।

সরাসরি সার্চ জায়ান্ট গুগলের সমালোচনা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, গুগল তাদের সার্চে তাঁর বিরুদ্ধে সাজানো ফলাফল দেখায়। যত বাজে ও নেতিবাচক ফল সেখানে দেখানো হয়।

ট্রাম্প বলেন, গুগল সার্চে ট্রাম্প নিউজ সার্চ দিলে যত সব বাজে খবর উঠে আসে। ভুয়া নিউ মিডিয়া প্রতিবেদনগুলো সেখানে দেখানো হয়। তিনি আরও বলেন, ‘গুগল সার্চের খবরগুলো আমার বা অন্যদের জন্য কারসাজি করা, যাতে প্রায় সব খারাপ খবর দেখানো হয়।’

ট্রাম্পের ওই অভিযোগের পর হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলেছেন, গোলটেবিলে অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে।

আগে কুডলো বলেছিলেন, ট্রাম্প প্রশাসন সার্চ ফল নিয়ন্ত্রণের জন্য খোলাখুলি আলোচনা করবে, পরে অবশ্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর অবস্থান বদলেছেন।

শুক্রবার সমালোচকদের মুখোমুখি হতে হোয়াইট হাউসে যান পিচাই। এক ডজনের বেশি রিপাবলিকান নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। জিওপি নেতা কেভিন ম্যাকাথি বলেছেন, দলের রাজনীতিবিদেরা সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তি ও এর স্বচ্ছতার বিষয়ে উদ্বেগে রয়েছেন। বর্তমানে বিশ্বের ৯০ শতাংশ সার্চের বাজার গুগলের দখলে।

ট্রাম্প ও কনজারভেটিভদের সেন্সর করার অভিযোগ অস্বীকার করেছে গুগল। রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত ওই বৈঠকে গুগল কীভাবে সার্চের কাজ করে, তা তুলে ধরেন। কোনো ধরনের পক্ষপাত ঠেকাতে গুগলের কর্মী ও অ্যালগরিদমের কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে জানান তিনি। বৈঠক গঠনমূলক ও তথ্যপূর্ণ হয়েছে বলে বর্ণনা করেন পিচাই।