অ্যাপল ও আমাজন সার্ভারে চীনা গোয়েন্দাদের হানা?

অ্যাপল ও আমাজন ওয়েব সার্ভিসের সিস্টেমে কম্পিউটার চীনা গোয়েন্দারা হানা দিয়েছে বলে তথ্য দিচ্ছে ব্লুমবার্গ। ছবি: এএফপি
অ্যাপল ও আমাজন ওয়েব সার্ভিসের সিস্টেমে কম্পিউটার চীনা গোয়েন্দারা হানা দিয়েছে বলে তথ্য দিচ্ছে ব্লুমবার্গ। ছবি: এএফপি

প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল ও আমাজন ওয়েব সার্ভিসের সিস্টেমে চীনা গোয়েন্দারা হানা দিয়েছে বলে তথ্য দিচ্ছে ব্লুমবার্গ। গোাপনে কম্পিউটার চিপ ঢুকিয়ে তাঁরা এই বড় দুই কোম্পানির ওয়েব সার্ভিসে হানা দেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসার পর তোলপাড় শুরু হয়েছে প্রযুক্তি জগতে। তবে এ তথ্যের সত্যতা অস্বীকার করেছে অ্যাপল ও আমাজন।

নাম প্রকাশ না করে ১৭টি গোয়েন্দা ও বাণিজ্যিক সূত্রের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চীনা গোয়েন্দারা প্রায় ৩০টি সংস্থা ও একাধিক মার্কিন সরকারি সংস্থার ব্যবহৃত সরঞ্জামের ভেতর কম্পিউটার চিপ স্থাপন করেন। যাতে এসব অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্কে বেইজিং গোপনে ঢুকতে পারে। ।

এ অভিযোগের বিষয়ে কোনো লিখিত মন্তব্য করতে রাজি হয়নি চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বেইজিং ইতিমধ্যে পশ্চিমা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

সরকারি এজেন্সিতে কর্মরত নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, একদিকে ব্লুমবার্গের ওই দাবি করছে, অন্যদিকে অ্যাপল ও আমাজন জোরালোভাবে তা অস্বীকার করছে। এই অস্পষ্টতা দেখে তারা অবাক হয়েছেন। অনেকে অবশ্য বলছেন, এই অভিযোগ সত্য হতে পারে। তবে কোম্পানিগুলো যেভাবে অস্বীকার করছে, এতে এই তথ্য নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে।

২০১৫ সালে অ্যাপলের সার্ভারে এমন চিপ পাওয়া গেছে, এ তথ্য সত্য নয়-এমন বিবৃতি দিয়েছে অ্যাপল। আমাজন তাদের ব্লগে জানায়, এটা অসত্য।

ব্লুমবার্গ তার প্রতিবেদনের তথ্যে অনড়। এই গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, আলাদাভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানিগুলোর ভেতরের ১৭ জনের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য থেকে প্রমাণ হয় যে হার্ডওয়্যারে হামলা হয়েছিল।
ব্লুমবার্গ বলছে, আমরা আমাদের প্রতিবেদনে তথ্যেই থাকছি। আমাদের তথ্যের বিষয়ে আমরা নিশ্চিত।