ওএলইডি টিভির চাহিদা বাড়ছে

এলজি ওএলইডি টিভি
এলজি ওএলইডি টিভি

বৈশ্বিক পর্যায়ে অরগানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড বা ওএলইডি টিভির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বাজার গবেষকেরা বলছেন, প্রতিবছর এ ধরনের ডিসপ্লেযুক্ত টিভির বাজার দ্বিগুণ হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে ওএলইডি টিভির বাজার দ্বিগুণ আকারে বাড়তে শুরু করে। এলজি ইলেকট্রনিকস এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে। আইএএনএসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস মার্কিটের পূর্বাভাসে জানানো হয়, ২০১৩ সালে প্রথম ওএলইডি টিভি বাজারে আসে। ২০১৮ সালে ২৬ লাখ ইউনিট ওএলইডি টিভি সেট বিক্রি হবে। ২০১৫ সালে ৩ লাখ ৩৫ হাজার ইউনিট ওএলইডি টিভি সেট বিক্রি হয়েছিল, যা ২০১৬ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ৭ লাখ ২৪ হাজার ইউনিটে।

বাজার গবেষকেরা বলছেন, ২০১৯ সালে ওএলইডি টিভি বিক্রি হতে পারে ৩৬ লাখ ইউনিট। ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৭০ লাখ ইউনিটে। ২০২১ সালে তা এক কোটি ইউনিট ছাড়াতে পারে।

বাজার গবেষকেরা বলেন, ২০১৬ সালে বাজারে যে পরিমাণ টিভি বিক্রি হয়েছিল, এর ২ দশমিক ২ শতাংশ ছিল ওএলইডি টিভি। ২০১৭ সালে এ ধরনের টিভির বাজার গিয়ে দাঁড়ায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশে। ২০১৮ সালে এ বাজার দাঁড়াতে পারে ৬ দশমিক ৬ শতাংশে। ২০২২ সাল নাগাদ টিভির বাজারের ১০ শতাংশের বেশি দখল করবে ওএলইডি টিভি।

বাজার গবেষকেরা বলছেন, বর্তমানে যত টিভি সেট বিক্রি হচ্ছে, এর ৯৫ শতাংশই লিকুইড-ক্রিস্টাল ডিসপ্লে বা এলসিডির। প্রতিবছর ১ বা ২ শতাংশ হারে এর জনপ্রিয়তা কমতে দেখা যাচ্ছে। ওএলইডি টিভির বাজারে ৬৫ শতাংশের বেশি দখল করে রেখেছে এলজি। বর্তমানে প্রায় ১৫টি প্রতিষ্ঠান ওএলইডি টিভির বাজারে বিনিয়োগ করেছে।

ওএলইডি, অর্থাৎ অরগানিক লাইট এমিটিং ডায়োড ডিসপ্লে প্রযুক্তি অনেকটাই নতুন প্রযুক্তি হিসেবে পরিচিত। মৌলিকভাবে এলসিডি টিভি থেকে এই প্রযুক্তি ভিন্ন। সবচেয়ে প্রাথমিক পার্থক্য হচ্ছে এর প্রতিটি পিক্সেলই ভিন্ন ভিন্নভাবে নিজস্ব আলো বের করে। অন্যদিকে, এলসিডি টিভির আলো বের হয় এলইডি ব্যাকলাইট থেকে। এই পার্থক্যই ছবির মান নির্ধারিত করে।

বাজার গবেষকেরা বলছেন, এশিয়ার টেলিভিশন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন ডিসপ্লে প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে চেষ্টা করছেন। তবে আলট্রা এইচডি রেজল্যুশনের ভিডিও কনটেন্টের ঘাটতি থাকায় এবং অতিরিক্ত দামের কারণে এ টিভিগুলো এখনো জনপ্রিয় হয়নি।