'আমি এখানে রাজনীতি করতে আসিনি'

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ফাইল ছবি
>

গত ২৬ জানুয়ারি থেকে অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৮ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ ক্যাটাগরিতে প্রতিভাবান ফুটবলার খোঁজার কার্যক্রম শেষে প্রাথমিক একটি তালিকা তৈরি করেছে বাফুফে। বয়সের পরীক্ষা শেষেই চূড়ান্ত হবে কাদের জায়গা হচ্ছে বাফুফে একাডেমিতে।

ফুটবল ফেডারেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশে হঠাৎ প্রতিভাবান ফুটবলার খোঁজার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সারা দেশ ঘুরে একদিকে ফুটবলার খুঁজতে ব্যস্ত জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল ফোরাম (বিডিবিএল) এবং আরেক দিকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বছরব্যাপী প্রতিভাবান ফুটবলার বাছাই করা বাফুফের কাজের অংশ হলেও এত দিন কোনো হেল দোল ছিল না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে একাডেমি গঠনের লক্ষ্যে খেলোয়াড় বাছাইয়ে নেমেছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। 

ফুটবলার বাছাই কার্যক্রম শেষে গতকাল বাফুফে ভবনে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। স্বাভাবিকভাবেই একটি প্রশ্ন উঠে যায়, খেলোয়াড় বাছাই বিডিডিএফ ও বাফুফের পাল্টাপাল্টি কোনো কর্মসূচি কিনা? গতকাল বাফুফে ভবনে এই প্রশ্নের জবাবে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘আমি এখানে রাজনীতি করতে আসিনি। নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আমরা খেলোয়াড় বাছাই করছি।’

গত ২৬ জানুয়ারি থেকে অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৬, অনূর্ধ্ব-১৮ এবং অনূর্ধ্ব-১৯ ক্যাটাগরিতে প্রতিভাবান ফুটবলার খোঁজার কার্যক্রম শেষে করে প্রাথমিক একটা তালিকা তৈরি করেছে বাফুফে। বয়সের পরীক্ষা শেষেই চূড়ান্ত হবে কারা উঠতে যাচ্ছে বাফুফে একাডেমিতে। বাফুফে সভাপতির আশা, আগামী মার্চে বাছাইকৃত ফুটবলারদের ওঠানো হবে বাফুফের নতুন ফুটবল একাডেমিতে, ‘আমরা আশা করছি, মার্চ মাসে নতুন একাডেমিতে তুলতে পারব। আসলে দেখানোর জন্যই এই ট্যালেন্ট হান্ট নয়। আগে এটা করা হয়নি কেন, এমন প্রশ্ন উঠতে পারে। আসলে এটি ক্লাবগুলোর করার কথা ছিল। বহু বছর চেষ্টার পর যখন ওদের দিয়ে করাতে পারিনি, তখন আমরাই এটা হাতে নিয়েছি।’

কতজন খেলোয়াড় নিয়ে হবে একাডেমি? এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি কাজী সালাউদ্দিন, ‘সংখ্যা এখানে কোনো বিষয় না। সেটা ১০ জনও হতে পারে, ১০০ জনও হতে পারে। সব নির্ভর করছে প্রতিভাবান ফুটবলার পাওয়ার ওপর।’