কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ক্যারিয়ার গড়তে বৃত্তি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বাড়ছে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বাড়ছে।

বিশ্বজুড়ে নানা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের (এআই) ব্যবহার শুরু হয়েছে। নেভিগেশন অ্যাপ, স্ট্রিমিং সেবা, স্মার্টফোনের ভার্চ্যুয়াল সহকারী, রাইড শেয়ারিং, ব্যক্তিগত সহকারী সফটওয়্যার, চ্যাট বট, স্মার্ট হোম ডিভাইসসহ নানা ক্ষেত্রে এআই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। যাঁরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাঁদের জন্য এআই বিষয়টিকে বেছে নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়।

কারণ, এ খাতকে গুরুত্ব দিচ্ছে ফেসবুকের মতো প্রতিষ্ঠান। সংবাদমাধ্যম আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রযুক্তিতে আগ্রহীদের জন্য লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ইউডাসিটির সঙ্গে যৌথভাবে বৈশ্বিক পর্যায়ে ‘সিকিউর অ্যান্ড প্রাইভেট আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স (এআই)’ বৃত্তির ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক।

এআই বিষয়ের কোর্সের ক্ষেত্রে ৫ হাজার জনের পেছনে আংশিক বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক। প্রথম ধাপের পরে শীর্ষ ৩০০ শিক্ষার্থী পুরো বৃত্তি পাবেন। ইউডাসিটির ‘ডিপ লার্নিং ন্যানোডিগ্রি প্রোগ্রাম’ বা ‘কম্পিউটার ভিশন ন্যানোডিগ্রি প্রোগ্রামে’ এ বৃত্তি প্রযোজ্য হবে।

ওই কোর্স এখন আবেদনের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। ৩০ মে থেকে কোর্স চালু হবে।

ইউডাসিটি ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইশান গুপ্ত বলেছেন, ‘ফেসবুকের সঙ্গে যৌথভাবে এ কোর্স চালু করতে পেরে আমরা উৎফুল্ল। বিশ্বজুড়ে এ বৃত্তির চ্যালেঞ্জ যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।’

এ বৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীকে প্রাইভেসি সংরক্ষিত প্রযুক্তি, যেমন ‘ডিফারেন্সিয়াল প্রাইভেসি’ ও ‘এনক্রিপটেড কম্পিউটিং’ বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। শিক্ষার্থীরা পারস্পরিক যোগাযোগ ও সহযোগিতার মাধ্যমে তাঁদের প্রকল্পের গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া পাবেন।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান এআইএম ও অ্যানালিটিক্স ল্যাবের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে এআইয়ের বাজার ছিল ২১ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৫ সাল নাগাদ ১৯০.৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে। গুগল, আমাজন, ফেসবুকসহ প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যাংক, ই-কমার্স খাতেও প্রয়োজন পড়বে এআই দক্ষ কর্মীদের।

এআই বিষয়ে দক্ষ কর্মীরা মেশিন লার্নিং প্রকৌশলী, রোবোটিকস, ডেটা সায়েন্টিস্ট হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।