হেডফোনের শত বছর

নাথানেল বেলডউইন
নাথানেল বেলডউইন

এখন অনেকেই সঙ্গে রাখেন বিভিন্ন হেডফোন। দৈনন্দিন জীবনে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে যদি মনে হয় ২০০১ সালে ‘পকেটে হাজার গান’ শীর্ষক আইপডের সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে হেডফোন, তবে তা ভুল ধারণা।

এমনকি ১৯৬৭ সালে মিনি ক্যাসেট প্লেয়ারের সময়েও উদ্ভাবন হয়নি আজকের হেডফোন। হেডফোন প্রথম উদ্ভাবিত হয় ১৮৮১ সালে। গান শুনতে নয়, প্রথম হেডফোন তৈরি করা হয়েছিল টেলিফোন অপারেটরদের কাজের সুবিধার জন্য।

সে হেডফোনগুলোর একদিকে ইয়ার-কাপ থাকত, যা দিয়ে শব্দ শোনা যেত। আর অন্য অংশ কাঁধের ওপর কারণ, হেডফোনগুলোর ওজন হতো প্রায় ৪ কেজিরও বেশি। ১৯৮৫ সালে প্রথম ব্যক্তিগতভাবে গান ও রেডিও শোনার জন্য ইলেক্ট্রোফোন নামের হেডফোন বাজারে এসেছিল। তবে সেটি হাতে ধরে রেখে শুনতে হতো, যা দেখতে অনেকটা স্টেথিস্কপের মতো ছিল।

আধুনিক হেডফোনের আবিষ্কার হয় ১৯১০ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জন্য হেডফোনটি বানিয়েছিলেন মার্কিন উদ্ভাবক নাথানেল বেলডউইন। হেডফোন প্রথম জনপ্রিয়তা পায় ১৯৩৭ সালে। প্রথম স্টেরিও হেডফোন আসে ১৯৫৮ সালে। তারবিহীন হেডফোন আসে ১৯৬০ থেকে ৭০ দশকের মধ্যে। ১৯৭৯ সালে হেডফোনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটে সনির তৈরি ওয়াকম্যানের মাধ্যমে। ২০০০ সালে আসে শব্দ প্রতিরোধক হেডফোন। ২০০১ সালে স্টিভ জবস প্রথম বাজারে আনেন বর্তমানের সবচেয়ে ব্যবহৃত ইন-ইয়ার হেডফোন। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি হেডফোনের মূল্য ১ মিলিয়ন ডলার, যা বিটসের।