বাংলাদেশের ডিজিটাইজেশনের জ্ঞান নেবে ফিলিপাইন

বাংলাদেশের দ্রুত ডিজিটাইজেশনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে ফিলিপাইনের বংশামারুতে কাজে লাগানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দেশটির বংশামারুর প্রাদেশিক ইন্টেরিয়র অ্যান্ড লোকাল গভর্নমেন্ট নাহিন জি সিনারিম্বো। গতকাল পূর্বাণী হোটেলে এটুআইয়ের উদ্যোগে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ‘ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব’ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ফিলিপাইনের ওই প্রাদেশিক মন্ত্রী। সেখানে এ কথা বলেন তিনি। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

নাহিন বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ফিজিক্যাল রূপান্তর ও উদ্ভাবনে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশের দ্রুত ডিজিটাইজেশনের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে ফিলিপাইনের বংশামারুতে কাজে লাগাতে চান তিনি। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজে আগ্রহী তাঁর দেশ।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ অগ্রসর হচ্ছে। সেগুলো হচ্ছে—মানবসম্পদ উন্নয়ন, ইন্টারনেটের সংযোগ দেওয়া, ই-গভর্ন্যান্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প খাত গড়ে তোলা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১০ বছর আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫০ লাখ। ইন্টারনেটের দাম বেশি হওয়ার কারণে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারত না। বর্তমান সরকার ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে এনেছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে প্রায় সাড়ে ৯ কোটিতে পৌঁছেছে। আমরা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের দেশগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।