দেশে তৈরি যন্ত্র ও উদ্ভাবন নিয়ে ঢাকায় আজ থেকে মেলা

‘মেইড ইন বাংলাদেশ: কোনো কিছুই অসম্ভব নয়’—স্লোগান নিয়ে রাজধানীতে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯’। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনের এই প্রদর্শনী চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত।

বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) আয়োজিত এই মেলায় সহযোগিতা করছে সরকারের আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ। 

মেলা শুরুর আগে গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই মেলার বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। 

সংবাদ সম্মলনে অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। বলেন, আইসিটি শিল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন পণ্য এবং আইসিটি পরিষেবা তিন দিনব্যাপী এই এক্সপোতে একত্রে প্রদর্শন করে দেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরবেন আইসিটি শিল্পের সব ব্যবসায়ী। এ ছাড়া স্থানীয় এবং বিদেশিদের মধ্যে বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগকারী এক্সপোতে অংশ নেবেন, যেখানে তাঁরা স্থানীয় উদ্ভাবনগুলো দেখবেন এবং সেটি থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। ইভেন্টের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশের ১০ বছরের সাফল্যগুলো বিভিন্ন সেমিনার এবং আলোচনায় তুলে ধরা হবে।

সম্মেলনে বিসিএসের সভাপতি মো. শহিদ-উল-মুনীর বলেন, ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত বিসিএস নিয়মিতভাবে তথ্যপ্রযুক্তি প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। দেশীয় প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানদের অংশগ্রহণে দেশে তৈরি প্রযুক্তি সম্পর্কে সম্যক ধারণা নিতে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয় ওয়ালটন, স্যামসাং, সিম্ফনি, বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থা, টেকনো মোবাইল, ভিভো, এলজি, নিটল এবং আমরার মতো দেশের প্রায় সব বড় আইসিটি পণ্য উৎপাদক এবং পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেবে।

আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বাক্য সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারসহ অনেকে।

বাংলাদেশ সরকারের এটুআই ইনোভেশন ল্যাব তাদের প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষিক্ষেত্র, কর্মসংস্থান, পরিবেশ, মেয়েদের ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য, আইন, পর্যটন ইত্যাদি ক্ষেত্রে উদ্যোগগুলো প্রদর্শন করবে। দেশীয় উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি দেশের প্রযুক্তিতে আগ্রহী তরুণদের অংশগ্রহণকে এক্সপো চলাকালে সমানভাবে উৎসাহিত করা হবে। বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাচিত সেরা ৩০টি উদ্ভাবন এতে দেখানো হবে। প্রদর্শনীর পর শীর্ষ ১০ তরুণ উদ্ভাবককে বঙ্গবন্ধু উদ্ভাবনী অনুদান (বিআইজি) প্রদান করা হবে। 

আজ সোমবার বেলা ৩টায় মেলার উদ্বোধন করা হবে। এরপর রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য খোলা থাকবে। আগামীকাল ও পরশু মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলায় প্রবেশ করতে কোনো টিকিট লাগবে না। আগামীকাল মেলা প্রাঙ্গণে কয়েকটি ব্যান্ডদলের পরিবেশনায় কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে।