পৌরসভার নাগরিকদের জন্য অনলাইনে ৫ সেবা

‘ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান’ প্রতিবেদনে মোড়ক উন্মোচন। ছবি: বিসিসির সৌজন্যে
‘ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান’ প্রতিবেদনে মোড়ক উন্মোচন। ছবি: বিসিসির সৌজন্যে

অনলাইনে সরকারি সেবা দিতে সম্প্রতি কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। এর মধ্যে অন্যতম সেবা হচ্ছে ডিজিটাল মিউনিসিপ্যালটি সেবা। সম্প্রতি কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) সহযোগিতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এ সেবাসংক্রান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ প্রকল্পের আওতায় ‘ডিজিটাল মিউনিসিপ্যালটি সার্ভিসেস সিস্টেম’ পাইলটিংয়ের মাধ্যমে ৫ সেবা সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার নাগরিকদের অনলাইনে প্রদান করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে—অনলাইন হোল্ডিং ট্যাক্স, অনলাইন ওয়াটার বিলিং সেবা, অনলাইন মিউনিসিপ্যালটি সিটি করপোরেশন সার্টিফিকেট সেবা, অটোমেটেড প্রোপার্টি ম্যানেজমেন্ট সেবা ও ই-ট্রেড লাইন্সেস সেবা।

‘ডিজিটাল মিউনিসিপ্যালটি সার্ভিসেস সিস্টেম’ পাইলট প্রকল্প হিসেবে শুরুতে একটি সিটি করপোরেশন ও ৯টি পৌরসভায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এগুলো হলো ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন, ফরিদপুর পৌরসভা, গোপালগঞ্জ পৌরসভা, নাটোর পৌরসভা, ঝিনাইদহ পৌরসভা, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভা, পীরগঞ্জ পৌরসভা, সিংড়া পৌরসভা, তারাব পৌরসভা ও রামগতি পৌরসভা।

সরকারি সেবা চালু সম্পর্কে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, পাইলট প্রকল্প দিয়ে প্রায় ২০ লাখ নাগরিককে সেবা দেওয়া হবে। ২০২০ সালের মধ্যে ৩০০ পৌরসভায় সেবা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এখানে আরও ডিজিটাল সার্ভিস অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের অধিকাংশ নাগরিক অধিকাংশ সেবা হয় তাদের হাতের ছোঁয়ার মাধ্যমেই পাবে, আর নয়তো আমাদের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে নিজেদের দোরগোড়ায় পাবে।