আইফোনে কপি-পেস্ট বিপজ্জনক

আইফোনেও রয়েছে নিরাপত্তা–ত্রুটি। ছবি: অ্যাপলের সৌজন্যে
আইফোনেও রয়েছে নিরাপত্তা–ত্রুটি। ছবি: অ্যাপলের সৌজন্যে

প্রযুক্তি–দুনিয়ায় গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের চেয়ে অ্যাপলের আইওএস অপারেটিং সিস্টেমকে বেশি নিরাপদ হিসেবে ধরা হয়। অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরের চেয়ে গুগলের প্লে স্টোরে ক্ষতিকর ও বিপজ্জনক অ্যাপের সংখ্যা বেশি। তার মানে অ্যাপলের আইফোন পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত, তা বলা যাবে না।

ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইফোনেও নিরাপত্তা–ঝুঁকি রয়েছে বলে গবেষকেরা সতর্ক করেছেন। আইফোনের ক্লিপবোর্ড ফাংশন ব্যবহার করে যখন কোনো টেক্সট কপি-পেস্ট করা হয়, তখন তা ব্যবহারকারীকে বিপদে ফেলতে পারে। আইফোনের এ ফাংশনে নিরাপত্তা–দুর্বলতা রয়েছে। এই দুর্বলতা কাজে লাগাতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা।

ফোর্বসের প্রতিবেদনে গবেষক তালাল হাজ বাকরি ও টমি মিয়াস্কের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, আইফোনের নিরাপত্তা–ত্রুটি ব্যবহার করে ক্ষতিকর অ্যাপগুলো আইওএসচালিত ডিভাইসে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আইওএস ও আইপ্যাড ওএসে সিস্টেম ওয়াইড জেনারেল পেস্ট বোর্ডে অবাধ প্রবেশাধিকার রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীর অবস্থান শনাক্ত করার পথ রয়েছে। ব্যবহারকারীর অজান্তেই তাঁর অবস্থান শনাক্ত করতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা। আইওএস ১৩ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহারকারীর হাতে অ্যাপের লোকেশন ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে।

গবেষকেরা বলেন, সাধারণ আইফোন ব্যবহারকারীরা মনে করেন, কোনো অ্যাপকে তাঁর অবস্থানগত তথ্যের জন্য অনুমতি না দিলে তা বের করতে পারবে না। তবে এ ধারণা ঠিক নয়। ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানার ভূ-অবস্থান বিশ্লেষণ করে তাঁর অজান্তেই নিখুঁতভাবে অবস্থান শনাক্ত করতে পারে।

গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, আইফোনের পেস্টবোর্ড বা ক্লিপবোর্ড ফাংশন বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করে নির্দিষ্ট তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। এ নিরাপত্তা–ত্রুটির বিষয়টি চলতি বছরের শুরুর দিকে অ্যাপল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই নিরাপত্তা–ত্রুটি নিয়ে তারা মাথাব্যথার কিছু দেখছে না।