মুখে মাস্ক থাকলেও চেহারা শনাক্তের প্রযুক্তি

মুখে মাস্ক থাকলেও চেহারা চেনা যাবে। ছবি: রয়টার্স
মুখে মাস্ক থাকলেও চেহারা চেনা যাবে। ছবি: রয়টার্স

চীনের হুবেই প্রদেশে গত বছরের শেষে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি। ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়া রুখতে কিছুদিনের মধ্যেই প্রদেশজুড়ে অধিবাসীরা মুখে মুখোশ বা মাস্ক পরতে শুরু করে। এতে দেখা দিল আরেক সমস্যা। মাস্ক পরিধানকারীকে স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার পক্ষে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, চেহারা শনাক্তকরণসহ ইলেকট্রনিক সারভেইলেনস বা নজরদারির কাজে বিশ্বসেরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে চীন। তবে তাদের সেসব প্রযুক্তি কোনো কাজেই এল না। এখানেই কাজ শুরু করে হানওয়াং টেকনোলজি লিমিটেড।

চীনা প্রতিষ্ঠানটির ইংরেজি নাম হানভন। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হলো, মাস্ক পরিধানকারীকেও তাদের প্রযুক্তি শনাক্ত করতে পারবে। আর টেম্পারেচার সেন্সরের সঙ্গে যুক্ত করা হলে মানুষের নাম জানানোর পাশাপাশি তাপমাত্রাও জানাতে পারবে। তাপ মাত্রাতিরিক্ত মনে হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন হানওয়াংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট হুয়াং লেই। বেইজিংভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করেন ২০ জন কর্মী।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে গত জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে হানওয়াং। এক মাসের মধ্যেই প্রযুক্তিটি বাজারজাত শুরু করে তারা। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মূলত দুই ধরনের নিরাপত্তা পণ্য বিক্রি করছে হানওয়াং। একক চ্যানেল ও একাধিক চ্যানেল। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, একক চ্যানেলটি কোনো কার্যালয়ের প্রবেশমুখে স্থাপন করা যেতে পারে। মাল্টি চ্যানেলে একাধিক ক্যামেরা ব্যবহার করে একসঙ্গে সর্বোচ্চ ৩০ জনকে শনাক্ত করতে পারবে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।

হানওয়াংয়ের বড় গ্রাহকদের একটি হলো চীনের জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়। পুলিশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণও এই মন্ত্রণালয়ের। হানওয়াংয়ের প্রযুক্তির সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের ডেটাবেইসে থাকা নাম, ছবি ও অন্যান্য তথ্য মিলিয়ে দেখতে পারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। তবে কেউ যদি একই সঙ্গে মাস্ক এবং রোদচশমা পরে থাকে, সে ক্ষেত্রে শনাক্ত করতে হিমশিম খেয়ে যায় এই প্রযুক্তি। তা ছাড়া হানওয়াংয়ের প্রযুক্তিকে চীনারা কীভাবে নিচ্ছে, তা জানার সুযোগ হয়নি এখনো। সূত্র: রয়টার্স