'অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর কাছে প্রযুক্তিখাত ঋণী'

জামিলুর রেজা চৌধুরী। ফাইল ছবি
জামিলুর রেজা চৌধুরী। ফাইল ছবি

প্রযুক্তিখাতের ব্যবসায়ীরা জাতীয় অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর কাছে ঋণী হয়ে থাকবেন। তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালাসহ সব সময়ই তিনি সবার আগে ইন্ডাস্ট্রিকে গুরুত্ব দিতেন। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) 'নক্ষত্রের মহাপ্রয়াণ' শীর্ষক এক ডিজিটাল অনুষ্ঠানে জামিলুর রেজা চৌধুরীর স্মরণে একথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। 

গতকাল শুক্রবার বিসিএস এ আয়োজন করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির পেজে এই সভাটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই স্মরণ সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিসিএসের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফী ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, লিডস কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, 'প্রযুক্তিখাতের ব্যবসায়ীদের জামিলুর রেজা স্যারের কাছে ঋণ রয়েছে। তাঁর সুপারিশেই কম্পিউটারের সফটওয়্যার আমদানির ওপর থেকে সম্পূর্ণ শুল্ক ও ভ্যাট মওকুফ করা হয়। ট্যাক্স হলিডে থেকে শুরু করে প্রযুক্তিবান্ধব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। এখনো জেআরসি কমিটির রিপোর্ট সমান গুরুত্বপূর্ণ।'

তথ্যপ্রযুক্তিবিদ আব্দুল্লাহ এইচ কাফী বলেন, 'তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসনের শেষ দিনেও তিনি ভি-স্যাট সেবা উন্মুক্ত করতে বিসিএস এর আবেদন সই করে দেন। এটি উন্মুক্ত করার পরও একটা অপারেটরের মাধ্যমে ৬৪ কেবিপিএস ব্যান্ডউইথ সংযোগ নিতে গিয়েও বছরে যখন ৯৬ হাজার ইউএস ডলার দিতে হতো। এই বিল কমানোর পেছনেও তাঁর অবদান রয়েছে।'

সবুর খান বলেন, 'জামিলুর রেজা স্যারের অনুপ্রেরণাতেই ফলেই বিসিএস থেকে আমি প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে আইসিটি মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি পাশ করাতে সক্ষম হয়েছিলাম।'
শেখ আব্দুল আজিজ বলেন, '১৯৯৭ সালে অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি টাস্কফোর্সে কাজ শুরু করি। ১৪ সদস্য বিশিষ্ট ঐ কমিটির সদস্য ছিলাম বিধায় জেআরসির কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিখতে পেরেছিলাম।'

বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর বলেন, 'এই দেশ এবং দেশের মানুষ কৃতজ্ঞতার সঙ্গে জেআরসি স্যারকে স্মরণ করবে। আমরা তাঁর কাছে চির ঋণী।'