করোনার বেশির ভাগ টুইট করছে বট

টুইটার
টুইটার

টুইটারে শেয়ার হওয়া করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব টুইটে কি আস্থা রাখা যায়? যুক্তরাষ্ট্রের কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, করোনাভাইরাস নিয়ে যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হচ্ছে, এর প্রায় অর্ধেকের বেশি বট অ্যাকাউন্ট।

গত বুধবার এ তথ্য জানিয়ে গবেষকেরা বলেন, তাঁরা গত জানুয়ারি থেকে ২০ কোটি টুইট বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, এতে ৪৫ শতাংশ টুইট যেসব অ্যাকাউন্ট থেকে করা হচ্ছে, তা মানুষের চেয়ে কম্পিউটারযুক্ত রোবটের মতো আচরণ করে।
বট অ্যাকাউন্টের পেছনে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীগুলি রয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয় । গবেষকরা বলেছেন যে টুইটগুলো আমেরিকায় বিভাজনকে লক্ষ্য করে হাজির করা হচ্ছে।

কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্যাথলিন কার্লে বলেন, 'এটি দেখে মনে হচ্ছে একটি প্রচার মেশিন। এটি রুশ ও চীনা প্লেবুকগুলোর সঙ্গে মিলে যায়। তবে এটি প্রমাণ করার জন্য প্রচুর উপযুক্ত ক্ষেত্র লাগবে।'
গবেষকেকরা কোভিড-১৯ সম্পর্কে ১০০টিরও বেশি ভুয়া গল্পের বর্ণনা শনাক্ত করেছেন, যা বট দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অ্যাকাউন্টগুলো থেকে টুইটারে ছড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে ৫জি টাওয়ার থেকে ভাইরাস ছড়ানোসহ নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব রয়েছে।

ইন্টারনেটে এ জাতীয় ভুয়া ধারণা বাস্তব-বিশ্বের ক্ষতি করেছে। এ ধারণায় প্ররেোচিত হয়ে ইংল্যান্ডে কয়েক শ ওয়্যারলেস টাওয়ারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে , ৫জি প্রযুক্তি চালু করা নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্বকে ইন্ধন হিসেবে কাজে লাগানো হয়েছে।


গবেষক কার্লে বলেন, অন্য সময়ে চেয়ে এখন টুইটারে বটের কার্যক্রম দুই গুণ বেড়ে গেছে। তাঁরা এ কাজে বট শিকার টুল ব্যবহার করেছেন এবং একই জাতীয় টুইট ও তার সময়সহ বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন।

টুইটারের এক মুখপাত্র কোম্পানির পূর্ববর্তী বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে যুক্তি দেন যে বট শব্দটি প্ল্যাটফর্মে বিস্তৃত আচরণের বর্ণনা দিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো সবই টুইটারের বিধি লঙ্ঘন নয়।

তবু টুইটার বলছে যে এটি করোনাভাইরাস সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর বা সম্ভাব্য ক্ষতিকারক তথ্য সম্বলিত হাজার হাজার টুইট মুছে ফেলেছে। তাদের স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম ১৫ লাখ অ্যাকাউন্টকে কেোভিড-১৯ সংক্রান্ত কনটেন্ট নিয়ে চ্যালেঞ্জ করেছে। গত সপ্তাহে টুইটার লেবেল নামের ফিচার চালু করেছে, যাতে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য প্রকৃত উৎস থেকে যাচাই করা কি না, তা দেখানো হবে। তথ্যসূত্র: এনপিআর