দারাজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল ই-রিটেইলার ব্র্যান্ড দারাজ। অনলাইনে যাঁরা কেনাকাটা করতে পছন্দ করেন দারাজ বাংলাদেশ নামে এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ড দারাজ বাংলাদেশ প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করবে। দারাজ হচ্ছে এশিয়া প্যাসিফিক ইন্টারনেট গ্রুপের (এপিএজিআইসি) একটি অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠান। এপিআইজিএসি হচ্ছে জার্মানিভিত্তিক রকেট ইন্টারনেট ও অরেডোর একটি যৌথ উদ্যোগ।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে দারাজ ডটকম ডটবিডি (http://www.daraz.com.bd/) নামের ওয়েবসাইট আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সুমিত সিং। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এপিএজিআইসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিরেণ তান্না।

দারাজ বাংলাদেশের উদ্বোধন করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
দারাজ বাংলাদেশের উদ্বোধন করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম দারাজ বাংলাদেশ সম্পর্কে সুমিত সিং বলেন, ‘বাংলাদেশে দ্রুত বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। অনলাইনে কেনাকাটা করার আগ্রহ বাড়ছে সবার মধ্যে। বাংলাদেশের বাজারকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেই দারাজ বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে মিয়ানমার ও পাকিস্তানে দারাজ সাফল্যের সঙ্গে কাজ করছে।’
দারাজের সুবিধা প্রসঙ্গে সুমিত সিং বলেন, ‘দারাজ বাংলাদেশ ব্যবহার করে ঘরে বসেই পণ্য ফরমায়েশ দেওয়া যাবে। পণ্য বুঝে নেওয়ার পর অর্থ পরিশোধ করার সুযোগ থাকবে। পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য আলাদা কোনো খরচ দিতে হবে না। দারাজের নিজস্ব কর্মীরাই পণ্য পৌঁছে দেবেন। বর্তমানে ১০০টি ব্র্যান্ডের প্রায় পাঁচ হাজার পণ্য দারাজ থেকে কেনার সুবিধা রয়েছে। অনুষ্ঠানে কিরেন তান্না বলেন, ‘বাংলাদেশকে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে কেনাকাটা করার সময় যে ধরনের অসুবিধা থাকে, বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশের মানুষও অনলাইনে কেনাকাটা পছন্দ করেন। বাংলাদেশে থ্রিজির প্রসার ঘটেছে। ফেসবুক ব্যবহারকারী বাড়ছে। সব মিলিয়ে অনলাইন কেনাকাটার জন্য বাংলাদেশের মানুষ প্রস্তুত।’সুমিত সিং প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আসল ব্র্যান্ডের পণ্যের নিশ্চয়তা, শক্তিশালী গ্রাহকসেবা ও ঝামেলাবিহীন অনলাইন কেনাকাটার নিশ্চয়তা দিচ্ছি। মোবাইল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেও দারাজ থেকে পণ্য কেনা যাবে।’