মুশফিকের চিন্তা রশিদ-মুজিবকে নিয়ে
>দুর্দান্ত খেলা দুই আফগান স্পিনার রশিদ খান-মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ছক কষছেন মুশফিকুর রহিম।
আইপিএলে দুর্দান্ত বোলিং করছেন দুজনই। একজন টি-টোয়েন্টির শীর্ষ বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন এরই মধ্যে। আরেকজন ক্রমেই ওপরে উঠে আসছেন। ২২ গজের লড়াইয়ে রশিদ খান ও মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ভাবেন না, এমন ব্যাটসম্যান আছে নাকি? মুশফিকুর রহিমকেও ভাবাচ্ছে।
সীমিত ওভারের ক্রিকেট, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে রশিদ ধারাবাহিক দ্যুতি ছড়াচ্ছেন অনেক দিন ধরেই। এই আইপিএলে অসাধারণ বোলিং করে তাঁর সতীর্থ মুজিবুর জানান দিচ্ছেন, রশিদের চেয়েও তিনি ভালো! ১০ ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়ে আফগানিস্তানের এই তরুণ স্পিনার আছেন শীর্ষ তিনে। ইকোনমি ৬.৬৯, উইকেট পাচ্ছেন প্রতি ১৬ বল পর পর। সমান ম্যাচে রশিদের (আজ দিল্লি ম্যাচের আগ পর্যন্ত) উইকেট ১৩টি। টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা এই আফগান লেগ স্পিনারের ইকোনমি ৭.১৫। এক ম্যাচে ক্রিস গেইলের তাণ্ডবে শিকার না হলে ইকোনমিটা আরেকটু কমই থাকত। আফগানিস্তানের এই দুই স্পিনার আইপিএলে ভালো খেলে চোখ রাঙাচ্ছেন বাংলাদেশকেও। জুনের প্রথম সপ্তাহে আফগানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
রশিদ-মুজিবকে নিয়ে যে আলাদা ছক কষতে হবে বাংলাদেশকে, সেটি সরাসরি না বললেও মুশফিক স্বীকার করে নিচ্ছেন, খুবই চ্যালেঞ্জিং হবে দুই আফগান স্পিনারকে সামলানো, ‘রশিদ খান একজন বিশ্বমানের বোলার। আইপিএলে এক ম্যাচ ছাড়া ওর বিপক্ষে ওভারে ছয়-সাতের বেশি রান কেউ নিতে পারেনি। আমাদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং হবে।’
চ্যালেঞ্জিং হবে ভেবে বসে থাকছেন না মুশফিক। আফগান স্পিনারদের খেলতে নিজের প্রস্তুতির কথাও জানালেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি কিছু কাজ করছি। কোন শট খেললে স্কোর করতে পারব, তা নিয়ে কাজ করছি। দল হিসেবে একটা ভালো পরিকল্পনা করতে হবে, যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ম্যাচে একজন বোলারকে দেখে খেলার সুযোগ নেই। পরিকল্পনা করতে হবে, যেখানে একটু ঝুঁকি নিয়ে হলেও রান যেন করতে পারি। ওদের শুধু রশিদ খান নয়, মুজিবও নতুন বলে বোলিং করে থাকে। সেভাবে পরিকল্পনা করতে এগোতে হবে। আশা করি আমরা পারব। আমাদের ভালো ক্রিকেটার আছে। তারা যদি ক্লিক করে, খুব ভালো একটি সিরিজ হবে।’