তুমি রবে নীরবে

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান করছেন আসফিয়া আক্তার
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান করছেন আসফিয়া আক্তার

২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাতটা। গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনভর্তি দর্শক। সন্ধ্যা ৭টা ১১ মিনিটে হঠাৎ দর্শকসারির বাতি নিভে গেল। কালো রঙের শাড়ি পরে মঞ্চে এলেন উপস্থাপক শিরিন আক্তার। শুরুতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রথম আলো বন্ধুসভা গাইবান্ধা বন্ধুসভার সদস্য হুমায়ুন কবির স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হলো। তারপর শুরু হয় ‘তুমি রবে নীরবে’ শীর্ষক এক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

গাইবান্ধা বন্ধুসভা আয়োজিত অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহাবুল শাহীন। স্মৃতিচারণা করলেন নিহত বন্ধু হুমায়ুন কবিরের মামা আবদুল আজিজ, হুমায়ুন কবিরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মেহেরুজ্জামান সরকার ও জাহিদুল ইসলাম। এরপর বেজে উঠল ‘মরিলে কান্দিস না আমার দায়...’। গাইলেন গাইবান্ধা বন্ধুসভার সাবেক সভাপতি চুনি ইসলাম।

আরও সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী সোমা সেন, আসফিয়া আক্তার শিখা ও জিয়াউর রহমান জিয়া। বাদ্যযন্ত্রে সহযোগিতা করেন মাহমুদ সাগর মহব্বত, মিজানুর রহমান মিলন ও মানিক বর্মণ। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন অমিতাভ দাশ, খোন্দকার নিপন ও শিরিন আক্তার।

গান ও কবিতা আবৃতির ফাঁকে ‘তুমি রবে নীরবে’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন গাইবান্ধা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদুল ইসলাম ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জীবন কুমার সাহা, আমার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠের পরিচালক নুরুল আলম, জেলা উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি জহুরুল কাইয়ুম প্রমুখ।

আলোচনায় উঠে আসে ২ সেপ্টেম্বর মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আমাদের বন্ধুসভার বন্ধু হুমায়ুন কবিরের কথা। হুমায়ুন কবির গাইবান্ধা সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

বক্তারা বললেন, ‘চালকেরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই চালকদের সতর্ক করতে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। যাতে আর কোনো বন্ধুকে হারাতে না হয়।’