দায়িত্বশীল হওয়ার বিষয়টি এক ধাপ এগিয়ে যায়

শাহ এহসান হাবীব
শাহ এহসান হাবীব

১৮ বছর বয়সের পরের সময়ে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ‘কনসেপ্ট অব সেলফ’ তৈরি হয়। একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব কেমন হবে, তা এ বয়সেই ঠিক হয়ে যায়। ব্যক্তিত্বে নানা পরিবর্তনও আসতে পারে। প্রত্যেকে নিজের আলাদা একটা ভুবন তৈরি করার চেষ্টা করেন। এই ভুবনে বাইরের কাউকে ঢুকতে দেন না। এই সময়ে নতুন নতুন বন্ধু তৈরি করেন এবং সেই বন্ধুদের অনেক বেশি গুরুত্ব দেন। সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে শুরু করে সময় কাটানো—সবকিছুই বন্ধুনির্ভর হয়। একটু বড় হওয়ার ফলে মা-বাবার সঙ্গে মাঝেমধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেসব পরিবারে সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ থাকে, সেসব পরিবারের সন্তান বড় হয়ে উঠলেও সমস্যা হয় না। কিন্তু যেসব পরিবারে সন্তানের সঙ্গে একটু দূরত্ব থাকে, সেসব পরিবারে সন্তান এবং মা-বাবা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন। তাই ছোট থেকে প্রত্যেক মা-বাবার উচিত তাঁদের সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করা। অভিভাবকদের ১৮ বছরের সন্তানদের মনের ভাবনাগুলোর সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। তা যদি কোনো কারণে সম্ভব না হয়, তাহলে অবশ্যই এই বয়সে সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করে তুলতে হবে এবং তাঁর সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে হবে। কিন্তু সন্দেহ করা যাবে না। সন্তানের সঙ্গে প্রতিটা বিষয় সরাসরি আলোচনা করতে হবে। সন্তানকে এই বয়সে স্বাধীনতা দিলেও তিনি কাদের সঙ্গে মিশছেন, কার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে, তা তাঁর কাছ থেকেই জানার চেষ্টা করতে হবে; এতে সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক যেমন ভালো হয়ে ওঠে, তেমনি সন্তানের দায়িত্বশীল হয়ে ওঠার বিষয়টি এক ধাপ এগিয়ে যায়।

শাহ এহসান হাবীব : অধ্যাপক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়