কেক ও পিঠার জন্য পরিচিত সাদিয়া

সাদিয়া নাসরিন মিতু
সাদিয়া নাসরিন মিতু

সাদিয়া নাসরিন মিতুকে অনেকেই চেনেন ‘ডেজার্ট এক্সপার্ট’ হিসেবে। এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার আগেই বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী ২০০৬ সালেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয় সাদিয়াকে। তবে ঘরকন্নার পাশাপাশি পড়াশোনা করে চলতি বছরে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। শুধু পড়াশোনা নয়, তিনি নানা ধরনের দেশি পিঠা তৈরি করে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিতি লাভ করেছেন। এখন তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা।

সাদিয়ার বাড়ি ফরিদপুরে। প্রথমে স্বামীর চাকরি সূত্রে এবং পরে প্রায় স্থায়ীভাবেই তিনি পটিয়ায় বসবাস করছেন। নিজের বাসায় বসেই কেক তৈরি করেন এবং তাঁর ফেসবুক পেজ ‘মিতু’স কেক’-এর মাধ্যমে বিভিন্ন বিয়ে, জন্মদিনসহ নানান অনুষ্ঠানের জন্য কেকের অর্ডার নেন।

গত জুলাই মাসে সাদিয়া ঢাকায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘দেশসেরা ডেজার্ট এক্সপার্টের খোঁজে’ শীর্ষক ডিপ্লোমা মিষ্টি লড়াই (সিজান-৬) প্রতিযোগিতায় ৬০ হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে সেমিফাইনাল রাউন্ডে যান। তবে অসুস্থতার জন্য পরবর্তী ধাপগুলোতে আর অংশ নিতে পারেননি। ২০১৮ সালে অনলাইনে ডেন কেকের উদ্যোগে এবং এটিএন বাংলা মিডিয়া পার্টনারের সৌজন্যে ‘ডেজার্ট জিনিয়াস’-এর বিজ্ঞাপন দেখে অনলাইন অডিশনে অংশ নেন সাদিয়া। বিভিন্ন ধাপ পার হয়ে চট্টগ্রাম থেকে সাদিয়াসহ পাঁচজন প্রতিযোগী এবং একইভাবে সারা দেশ থেকে ৩২ জন প্রতিযোগী ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে ডেজার্ট প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ১২তম স্থান অধিকার অর্জন করেন।

সাদিয়া নাসরিন বিয়ের পরও পড়াশোনা চালিয়ে যান। চট্টগ্রাম থেকে ২০১৩ সালে এইচএসসি এবং পটিয়া থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

 সাদিয়া ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পটিয়া কার্যালয় প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবে ৪১ ধরনের পিঠা নিয়ে অংশ নেন। এতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। ঢাকার মালিবাগে একটি প্রাইভেট কোম্পানির পিঠা উৎসবে শতাধিক ধরনের পিঠা নিয়ে অংশ নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন।

 সাদিয়া নাসরিন বললেন,‘ প্রতি পাউন্ড কেক ৬৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি করি। গ্রিন ফরেস্ট নামের কেকসহ নিজের নকশা করা বিভিন্ন কেক ক্রেতারা বেশি পছন্দ করেন। এ ছাড়া ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো ধরনের নকশার আদলে কেক তৈরি করতে পারি। ভবিষ্যতে একটা শো-রুম করার পরিকল্পনা রয়েছে। উদ্যোক্তা হয়ে নিজের পায়ের দাঁড়ানোই আমার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন।’