নুরুননাহার ফয়জননেসা স্মরণে

নুরুননাহার ফয়জননেসার স্মরণে গান
নুরুননাহার ফয়জননেসার স্মরণে গান

নুরুননাহার ফয়জননেসা। একদিকে যেমন মুক্তিসংগ্রাম থেকে শুরু করে দেশের সব সংকটে এগিয়ে গেছেন, তেমনি শিক্ষা, বিশেষ করে নারীশিক্ষা বিস্তারে তাঁর অবদান অসামান্য। ৬০-এর দশকের সাংস্কৃতিক আন্দোলনেও তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান। নুরুননাহার ফয়জননেসাকে স্মরণ করতে গিয়ে বক্তারা এ কথাই বলেন।
২০০৪ সালের ৩১ মার্চ নুরুননাহার ফয়জননেসা পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। এ বছর তাঁর দশম মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে ৩১ মার্চ ছায়ানট ভবনের প্রধান মিলনায়তনে বিশেষ স্মরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানটির উদ্যোগে ছিলেন তাঁর পরিবার, স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা।
কবিতা, গান, ভিডিওচিত্র আর নুরুননাহার ফয়জননেসার স্মৃতিচারণায় মুখরিত হয় আয়োজনটি। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন নুরুননাহার ফয়জননেসার সন্তান সাদিয়া আফরিন মল্লিক। নাজিয়া জাবিন ও সাবিহা সালেহউদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ছায়ানটের সভাপতি সন্জীদা খাতুন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, সাংবাদিক ইকবাল বাহার চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রওশন আরা, অধ্যাপক সালমা আক্তার, অধ্যাপক লতিফা আকন্দ ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম প্রমুখ।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘তিনি ছিলেন আলোকিত নারী। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। তিনি দুই দফায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ছিলেন। রোকেয়া ফাউন্ডেশনও তাঁরই হাতে গড়া। শেষজীবনেও তিনি সেই স্বপ্ন দেখে গেছেন। তিনি বয়স্ক নারীদের জন্য রোকেয়া প্রবীণ আবাস গড়ে তোলার প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিলেন। তাঁর সামগ্রিক জীবন বর্তমান প্রজন্মের নারীদের কাছে উদ্দীপনা হিসেবে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
সাদিয়া আফরিন মল্লিক বলেন, ‘মা সারা জীবন সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন। বর্তমান প্রজন্মকে এই আলোকিত মানুষদের অবদান সম্পর্কে জানাতে হবে। বর্তমান প্রজন্মের কাছে মায়ের কর্ম, চিন্তা, স্বপ্ন আর প্রত্যাশা জানাতেই এই স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।’