Thank you for trying Sticky AMP!!

কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার ছয় আসামিকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ

জামাল হোসেন

বিদেশে পালিয়ে যাওয়া কুমিল্লার তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামি ও সন্দেহভাজন এক আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সেই লক্ষ্যে তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। আজ রোববার দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিদেশে পালিয়ে থাকা এজাহারনামীয় আসামিদের মধ্যে মামলার ১ নম্বর আসামি মো. সুজন ও ২ নম্বর আসামি মো. আরিফ নেপালে, ৫ নম্বর আসামি বাদল দুবাইয়ে, ৬ নম্বর আসামি শাকিল ভারতে, ৮ নম্বর আসামি অলি হাসান সৌদি আরবে ও সন্দেহভাজন আসামি আল আমিন ওরফে শাহ আলী দুবাইতে অবস্থান করছেন। ছয়জনেরই গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি গ্রামে।

Also Read: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতাকে হত্যা মামলার তিন আসামির পরিচয় জানাল র‍্যাব, একজন আওয়ামী লীগ নেতা

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেস বড়ুয়া বলেন, ‘মামলার তদন্ত দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। আমরা বিদেশে অবস্থানরত আসামিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি।’

থানা-পুলিশ জানায়, গত ৩০ এপ্রিল রাত আটটার পর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর পশ্চিম বাজার বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকার সুমাইয়া কনফেকশনারির সামনে বোরকা পরা তিন দুর্বৃত্ত গুলি করে জামাল হোসেনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২ মে জামাল হোসেনের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে দাউদকান্দি থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৭ থেকে ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এখন পর্যন্ত এজাহারনামীয় তিন আসামি ও এজাহারের বাইরে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যায়, হত্যা মামলার আসামি আরিফ ২ মে নেপালে চলে যান। সুজন কখন গেছেন, তা এখনো জানা যায়নি। বাদল হত্যাকাণ্ডের আগে থেকেই দুবাইয়ে আছেন। আর মামলার সন্দেহভাজন আসামি আল আমিন ৩ মে দুবাই চলে যান।

Also Read: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস, বোরকা ও জুতা উদ্ধার, গ্রেপ্তার আরও ৩

বাদলের বড় বোন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পারুল আক্তার বলেন, ‘আমার ছোট ভাই বাদল দুবাইতে থাকে। সেখানে ওর ব্যবসা আছে। হত্যাকাণ্ডের সময় সে দেশে ছিল না। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হোক। তদন্তে যাঁরা দোষী প্রমাণিত হবে, তাঁদের সাজা হোক।’

পারুল আরও বলেন, ১৯৯১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তাঁদের বাবা রিয়াজ উদ্দিন মোল্লাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তাঁরা মামলা করেন। কিন্তু তাঁর বাবা হত্যার বিচার আজও হয়নি।

Also Read: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যা মামলায় ‘বোরকা পরা এক অস্ত্রধারীসহ’ গ্রেপ্তার আরও ৩

জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, মামলার আসামিদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনা একটি প্রক্রিয়ার ব্যাপার। তাঁরা সেই উদ্যোগ নিচ্ছেন। হত্যাকাণ্ডের সময় কারা বিদেশে ছিলেন, কারা দেশে ছিলেন, সেগুলো তদন্তে বেরিয়ে আসবে। কার কী ভূমিকা ছিল, সেটি তথ্য–উপাত্তের ভিত্তিতে সন্নিবেশ করা হবে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি অস্ত্রই পুলিশ উদ্ধার করেছে। আর কোনো অস্ত্র উদ্ধার বাকি নেই।

Also Read: কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় এবার উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই গ্রেপ্তার