সাহিত্যে ও সক্রিয়তায়

শান্তনু কায়সার (৩০ ডিসেম্বর ১৯৫০—১১ এপ্রিল ২০১৭)। ছবি: প্রথম আলো
শান্তনু কায়সার (৩০ ডিসেম্বর ১৯৫০—১১ এপ্রিল ২০১৭)। ছবি: প্রথম আলো

সম্প্রতি মারা গেলেন প্রাবন্ধিক-গবেষক শান্তনু কায়সার। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা

প্যারিস নই, একালের রাখাল
দেবীদের সৌন্দর্য বিচারের ভার পাইনি, তাই
ঘুষ নিয়ে হেলেনকে কবজা করব
সে সুযোগও হয়নি
গ্রিক পুরাণ যদি বাদ দেই তাহলে ত নিশ্চিত জানি:
নারী নয়, সমুদ্রের ওপর প্রভুত্ব বিস্তারই ছিল
ট্রোজান যুদ্ধের মূল কারণ।

গরু চরাতে চরাতে বুঝতে পারি, এ নীলিমায়
আমার কোনো অধিকার নেই।
আমি রাখাল, চাষাবাদের জমি গরুসুদ্ধ
খেতে বন্দী ভূমিদাস
তৃণক্ষেত্রে পশুপাল নিয়ে যাই,
কেটে আনি কচুরিপানা
ভেসে চলি ওদেরই মতো অথবা
আটকে থাকি ডালপালার বন্দিশালায়
ফাঁদে পড়া মাছের সঙ্গে ডাঙায় তুলে
আমাকেও বাঁচিয়ে রাখে
|যেন জিয়ানো কই, মাগুর অথবা দশাসই শিং

রাখাল খেতমজুর, ফাই-ফরমাশ
খাটার চাকর—এই ত্রয়ী ভূমিকায়
আমি বেশ মানিয়ে গেছি; খুদকুঁড়ো পেয়ে
গায়ে-গতরে যেমন বাড়তে থাকে মোরগ-মুরগি
আমিও তেমনি খেয়ে খেয়ে তেলতেলে হয়েছি।

খেতে ভালো হবে ভেবেই তো মুরগিগুলোকে
ওরা এন্তার খাওয়াচ্ছে
আমি বাড়ছি গায়ে-গতরে, কারণ, আমার
শ্রম ওদের বড় দরকার
আমাকেও জবাই করবে জানি;
কিন্তু আমি তো মানুষ
জবাই হবার আগে একবারও কি ভাবব না?

১৯৮২ সালে প্রকাশিত শান্তনু কায়সারের (১৯৫০-২০১৭) প্রথম কবিতার বই রাখালের আত্মচরিত-এর নামকবিতায় দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে দূরাগত মিথের ব্যবহারে শ্রেণিবিভক্ত সমাজের চিত্র কবিতায় বাঙ্ময় করতে চেয়েছেন তিনি। প্রাবন্ধিক-গবেষক শান্তনু কায়সার কবিতা দিয়েই শুরু করেছিলেন তাঁর সাহিত্যিক যাত্রা। ২০০৩-এ ৩০ বছর ব্যবধানে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় কবিতার বই শুভ সুবর্ণজয়ন্তী। ভাষা আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তিতে কবিতার বইয়ের এমন উদ্যাপনীয় শিরোনাম নির্বাচন ছিল তাঁর।
কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক লিখেছেন কিন্তু তাঁর সাহিত্যসত্তার পূর্ণাবয়ব প্রকাশ-বিকাশ চিন্তাগাঢ় প্রাবন্ধিক গদ্যে ও ভাবনা-নিবিড় গবেষণায়। মূলত সাহিত্যিক ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্র করেই তাঁর উল্লেখযোগ্য গদ্যকর্মের শাখাবিস্তার। তাঁদের মধ্যে আছেন বঙ্কিমচন্দ্র, মীর মশাররফ হোসেন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সুকান্ত, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ, অদ্বৈত মল্লবর্মণ, জীবনানন্দ দাশ প্রমুখ।
অদ্বৈত মল্লবর্মণের জীবনী প্রকাশের মধ্য দিয়ে যে অদ্বৈতচর্চার শুরু, তা অব্যাহত ছিল ২০১৭-তে তাঁর প্রয়াণের পূর্বপর্যন্ত। শান্তনুর ছেদহীন অদ্বৈতচর্চার ফল—অদ্বৈত মল্লবর্মণ (বাংলা একাডেমি, ১৯৮৭), অদ্বৈত মল্লবর্মণ: জীবন, সাহিত্য ও অন্যান্য (১৯৯৮), জন্মশতবর্ষে অদ্বৈত মল্লবর্মণ: জীবন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি (২০১৪)। তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছে অদ্বৈত মল্লবর্মণের উপন্যাসসমগ্র এবং কালজয়ী উপন্যাস তিতাস একটি নদীর নাম। তিতাস একটি নদীর নাম-এর নাট্যরূপও দিয়েছেন। শিল্পী ভ্যান গঘের জীবনভিত্তিক আরভিং স্টোনের লাস্ট ফর লাইফ নামে যে উপন্যাস অদ্বৈত অনুবাদ করেছিলেন, তার টীকা-ভূমিকাসংবলিত একটি সম্পাদিত রূপ এবং অদ্বৈত-জীবনীর পরিমার্জিত ভাষ্য তৈরি করে গেছেন তিনি, যা প্রকাশের অপেক্ষায়।
অদ্বৈত-কেন্দ্রিত প্রতিটি বইয়ে তিনি সাম্প্রতিক তথ্য সংযোজন এবং তৎপ্রেক্ষিতে তাঁর বিশ্লেষণ যুক্ত করে গবেষণাকে একটি ধারাবাহিকতায় মালাবদ্ধ করেছেন। তাঁর সশ্রম অদ্বৈত-গবেষণা দেশ-বিদেশের সুধী পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। লেখার মধ্য দিয়ে অদ্বৈতকে স্মরণের পাশাপাশি তাঁর জন্মস্থল এবং তিতাস একটি নদীর নাম-এর কেন্দ্রভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোকর্ণঘাটের মালোপাড়াকে ঘিরে একটি সাংস্কৃতিক বলয় নির্মাণে তিনি গত শতাব্দীর আশির দশক থেকে আমৃত্যু একজন সক্রিয় কর্মীর মতো অনলস কাজ করে গেছেন।
অন্যান্য ক্ষেত্রেও তাঁর গবেষণা গতানুগামী নয়। নজরুল-গবেষণায় পরিচিত বৃত্তের বাইরে গিয়ে নজরুলের সৃষ্টিতে ফুলের অনুষঙ্গ নিয়ে লিখেছেন একটি অসাধারণ মিতাবয়ব বই ফুল ও নজরুল, যা প্রয়াত পুষ্পবিশারদ আবদুশ শাকুরকেও মুগ্ধ করেছে। ঐ নূতনের কেতন ওড়ে নামে নজরুলকে নিয়ে একটি উপন্যাসও লিখেছেন তিনি। বিভূতিভূষণের দেবযান উপন্যাসের প্রায় ৭০ পৃষ্ঠার বিশ্লেষণভাষ্য ‘দেবযান: স্বর্গ ও পৃথিবীর দ্বন্দ্ব’ তাঁর প্রাবন্ধিক নিষ্ঠা ও নতুনতার পরিচয়বহ। কবি জীবনানন্দ দাশের গহন-গভীর গদ্যসত্তার উন্মোচক আলোচনা বিধৃত হয়েছে শান্তনু কায়সারের গভীর গভীরতর অসুখ: গদ্যসত্তার জীবনানন্দ বইয়ে। ভূমিকা থেকে অল্প একটু উদ্ধৃতিতে স্পষ্ট হবে জীবনানন্দ-চর্চায় শান্তনু কায়সারের অন্বিষ্ট:
বাংলার রূপে কবি মুগ্ধ, কিন্তু যুদ্ধ ও মন্বন্তরের ছোবল তাকে ‘রূপসী’ থাকতে দেয়নি, সৌন্দর্যে লেগেছে গ্রহণের ছায়া ও দাগ। তার কবিসত্তার সংবেদনশীল ও প্রতিক্রিয়ায় তীব্র মন ও মনন অত্যন্ত গোপনে গদ্যের চর্চা করেছে। প্রথমে নিশ্চয়ই তিনি নিজের প্রয়োজনেই ঐ গদ্য লিখতে শুরু করেন। যাকে তিনি প্রকাশযোগ্য বিবেচনা করেন তা রচিত হতে থাকে কবিতায়। আর যা প্রকাশযোগ্য নয় বলে তিনি ভাবেন কিন্তু যার দংশন থেকে আত্মরক্ষায়ও সমর্থ নন, সেই গদ্যে নিজের প্রয়োজনে এক মোক্ষণক্রিয়া ঘটিয়ে চলেন। এই সংগ্রাম অথবা সংগ্রামের অন্তর্দ্বন্দ্ব আমৃত্যু তার মধ্যে ক্রিয়া করতে থাকে।

.
.

শান্তনু কায়সারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গবেষণাকর্ম তৃতীয় মীর। ব্যক্তি মীর মশাররফ হোসেনকে ‘প্রথম মীর’, শিল্পী মীরকে ‘দ্বিতীয় মীর’ ধরে, এই দ্বিবিধ সত্তার দ্বন্দ্ব ও প্রতিক্রিয়ায় তিনি ‘তৃতীয় মীর’ নামক একজনকে খুঁজতে চেয়েছেন ‘জগৎ পরাধীন, কিন্তু মন স্বাধীন’, ‘গাজী মিয়ার তৃতীয় নয়ন’, ‘মীরের আত্মজৈবনিক রচনা বিষয়ে সংশয়’-এর মতো দার্শনিক ব্যাখ্যাঋদ্ধ প্রবন্ধসমুচ্চয়ে। দুই পর্বের বঙ্কিমচন্দ্র (১৯৮২ ও ১৯৮৪) তাঁর আরেকটি উল্লেখনীয় গবেষণাকর্ম।
নাটক নিয়ে তিনি বিশেষ উৎসাহী ছিলেন। বাংলা একাডেমির ভাষাশহীদ গ্রন্থমালা সিরিজে লিখেছেন কাব্যনাটক (১৯৮৬, পরিমার্জিত রূপ—কাব্য ও নাট্য: কাব্যনাট্য)। ২০১৪-তে প্রকাশিত বাংলাদেশের নাটক ও নাট্যদ্বন্দ্বের ইতিহাস তাঁর নাট্যালোচনার সংকলন। এখানে দীনবন্ধু মিত্র, লেবেদেফ, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, তৃপ্তি মিত্র, সেলিম আল দীন, সৈয়দ শামসুল হক, জিয়া হায়দার, এস এম সোলায়মান, মামুনুর রশীদ যেমন তাঁর নাট্যলোচনার বিষয় হয়েছেন, তেমনি সংস্কৃত নাটক থেকে গণনাট্যও হয়েছে নাট্যপর্যালোচনার উপজীব্য। মার্কিন তাত্ত্বিক রবার্ট ব্রাস্টেইনের থিয়েটার অব রিভোল্ট তিনি রূপান্তর করেছেন বিদ্রোহী নাট্যতত্ত্ব: ত্রয়ী নাট্যকার শিরোনামে। এই ত্রয়ী নাট্যকার হলেন বার্টল্ড ব্রেখট, জাঁ জেনে এবং লুইজ পিরেন্দেল্লো। এ ছাড়া তিনি অনুবাদ করেছেন শেক্সপিয়ারের সমসাময়িক স্প্যানিশ নাট্যকার লোপে দে ভেগার কৃষকনাট্য ফুয়েন্তে অভিজুনা, যার কয়েক শতাব্দীপূর্ব ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে খুঁজে পেয়েছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের তৃণমূল বাস্তবতার। নিজেও নাটক লিখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে জন্মগ্রামের নামে সাজনমেঘ নাটক ছাড়াও লিখেছেন রূপান্তর, আমরা এবং নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলার জীবনের প্রেমপর্ব নিয়ে নাটক তুমি। উল্লেখ্য, সাজনমেঘ নাটকটি শিশির দত্তের নির্দেশনায় চট্টগ্রামের অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়ের প্রযোজনায় মঞ্চস্থও হয়েছে। সাহিত্যিক সূচনাপর্বেই কবিতায় যেমন গণচেতনার শৈল্পিক রূপায়ণ করেছেন, তেমনি নাট্যরচনা, আলোচনা ও অনুবাদেও সমাজ ও জনজীবনলগ্নতাকে কেন্দ্রগুরুত্বে রেখেছেন। তাঁকে প্রায়ই দেখা যেত কুমিল্লা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে—মে দিবস উপলক্ষে আরণ্যকের গণনাট্য প্রদর্শনীতে অংশ নিতে।
সাহিত্যব্যক্তিত্বের প্রতি গবেষক-আগ্রহ ও অভিনিবেশ ক্রমশ বিস্তৃত হয়েছে বৃহৎ পরিসরের অন্য কৃতিমানদের প্রতিও। দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বর, একাত্তরের শহীদ চিকিৎসক মোহাম্মদ মোর্তজার জীবনী লিখেছেন। ‘সব সাধকের বড় সাধক আমার দেশের চাষা, দেশ মাতারই মুক্তিকামী দেশের সে যে আশা’—এই স্মরণীয় পঙ্ক্তির কবি রাজিয়া খাতুন চৌধুরাণী (১৯০৭-৩৪) কিংবা তাঁর সমকালীন সাহিত্যিক-সংগঠক নাজমা জেসমিন চৌধুরীর (১৯৪০-৮৯) জীবনী রচনায়ও তিনি ছিলেন সমান উৎসাহী। সম্প্রতি তিনি লিখেছেন দুই ভুবনের দুই কথাশিল্পী মীর মশাররফ হোসেন এবং শওকত ওসমানের জীবনী। জীবনীকে তিনি শুধু সুকৃতির গাথায় পরিণত করেননি, বরং জীবনীকে নির্মোহ-নিরাসক্ত-নৈর্ব্যক্তিক আলোচনা-প্রত্যালোচনার কাঠামোয় দাঁড় করিয়েছেন। তাঁর সম্পাদনা-কাজের মধ্যে অকালপ্রয়াত লেখক খান মোহাম্মদ ফারাবীর রচনাসমগ্র অন্যতম। এতে ফারাবীর রচনা সংকলনের পাশাপাশি শান্তনুর মূল্যায়নমূলক দীর্ঘ ভূমিকা পাঠক-গবেষক উভয়ের জন্য মূল্যবান প্রবেশক হিসেবে কাজ করে।
শিক্ষকতার সূত্রে দেশের নানা প্রান্তে বসবাস করেছেন; যে প্রান্তেই গেছেন, সেখানেই নতুন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বিনির্মাণ করেছেন। আশির দশকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে অধ্যাপনাকালে ‘ঋত্বিক’, ‘সাহিত্য একাডেমি’—এসব সংগঠনের মাধ্যমে স্থানীয় রক্ষণশীল পরিস্থিতি অতিক্রম করেছেন, সেখানে আয়োজন করেছেন ‘ইবনে সিনা-আইনস্টাইন-কার্ল মার্কস স্মরণোৎসব’। কুমিল্লা মহিলা কলেজে থাকাকালে তাঁর নির্দেশনায় কলেজের ছাত্রীরা মঞ্চস্থ করেছে টি এস এলিয়টের মার্ডার ইন দ্য ক্যাথিড্রাল, জামালপুরের এক কলেজে অধ্যক্ষতার সময় সেখানকার সন্তান হাসান হাফিজুর রহমানকে নিয়ে গবেষণা করেছেন। বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে তাঁর তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত কলেজ ম্যাগাজিনের পাতা ওল্টালে দেখা যাবে মফস্বলের কলেজ ম্যাগাজিনের জন্য কাইয়ুম চৌধুরী কিংবা হাশেম খানের প্রচ্ছদ সংগ্রহ করেছেন, দেশের বিশিষ্ট লেখকদের লেখার সঙ্গে কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনাময় লেখার সমাবেশ ঘটিয়েছেন। এভাবে কলেজ ম্যাগাজিনকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে একটি সাধারণ সাহিত্যপত্রে রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।
অধ্যাপনা থেকে অবসরের পর স্ত্রী সালেহা বেগমসহ প্রবাসী পুত্রদের কাছে গিয়েছিলেন কিছুটা সময় অবকাশ কাটাতে। কিন্তু প্রকৃত লেখকের তো কোনো অবকাশ যাপন হয় না। তাই প্রবাসযাপনে অসুস্থাবস্থায়ও স্থানীয় কুমিল্লার কাগজ পত্রিকায় নিয়মিত লিখে গেছেন ‘তিরিশ ছাড়িয়ে’ শিরোনামে আধা আত্মজৈবনিক-আধা প্রবন্ধধর্মী মুক্তরচনা। দ্রুত দেশে ফিরেছেন ‘মুক্তিযুদ্ধের আঞ্চলিক ইতিহাস: কুমিল্লা’ শীর্ষক গবেষণাকর্ম শেষ করার তাগাদায়।
চাঁদপুরে জন্ম নেওয়া শান্তনু কায়সার দীর্ঘ বসবাসের শহর কুমিল্লায় ‘সমতট’ নামে যে সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন, তার সর্বশেষ সভায় এ সংগঠন থেকে চালু হওয়া ‘শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মারক বক্তৃতা’র বিষয় নির্বাচন করেছিলেন ২০২১-এ ‘মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে স্বদেশ ও সমাজভাবনা’। অকস্মাৎ মৃত্যু এসে অনতি-সত্তরে তাঁকে এসব কিছু থেকেই ছিনিয়ে নিয়ে গেল। কিন্তু জীবন হ্রস্ব হলেও শিল্প তো দীর্ঘ। আমাদের সে দীর্ঘ শিল্পযাত্রায় এক জীবনের সাহিত্যকর্ম ও সক্রিয়তার গুণে শান্তনু কায়সার স্মরণীয় হয়ে থাকবেন নিঃসন্দেহে।