আমাদের 'জয় বাংলা'

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঠিক আগ মুহূর্তে নির্মিত হয় জয় বাংলা চলচ্চিত্রটি। ছয় দফা নিয়ে ছয়টি ভিন্ন গল্পে তৈরি হয়েছিল এর কাহিনি। স্বাধীনতার মাসে এ ছবি সম্পর্কে লিখেছেন এর কাহিনি ও সংলাপ রচয়িতা মাহবুব তালুকদার

জয় বাংলা চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী সংবাদ সম্মেলনে বাঁ থেকে: মাহফুজ সিদ্দিকী, হারুনুর রশীদ খান, আতিকুর রহমান, শেখ ফজলুল হক মণি (চতুর্থ), আবুল বাশার মৃধা, ফখরুল আলম (সপ্তম), চিন্ময় মুত্সুদ্দী, আনোয়ার পারভেজ (১১তম), শহীদ মুহাম্মদ আখতারসহ অনেকে, এবং সব শেষে লেখক
জয় বাংলা চলচ্চিত্রের উদ্বোধনী সংবাদ সম্মেলনে বাঁ থেকে: মাহফুজ সিদ্দিকী, হারুনুর রশীদ খান, আতিকুর রহমান, শেখ ফজলুল হক মণি (চতুর্থ), আবুল বাশার মৃধা, ফখরুল আলম (সপ্তম), চিন্ময় মুত্সুদ্দী, আনোয়ার পারভেজ (১১তম), শহীদ মুহাম্মদ আখতারসহ অনেকে, এবং সব শেষে লেখক

জয় বাংলা ছায়াছবি নিয়ে আমার মনে তেমন গৌরববোধ কখনো ছিল না। আমি যে দুটি ফ্লপ ছায়াছবির কাহিনিকার ও সংলাপ রচয়িতা, এটি তার অন্যতম। ছবিটি মানসম্পন্ন ছিল না বলে তা নিয়ে আলোচনাও খুব বেশি হয়নি। তবে এর একটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব অবশ্যই আছে। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটিকে সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতে ছবিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমার দুই পরলোকগত বন্ধু শেখ ফজলুল হক মণি ও ছবির পরিচালক ফখরুল আলম এ ছবি সম্পর্কে রাজনৈতিকভাবে আশাবাদী ছিলেন। বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনা ও ছয় দফা আন্দোলন জনমনে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য এতে সফল হবে বলে তাঁরা মনে করতেন। আমি অবশ্য তাতে সন্দিহান ছিলাম। কারণ, শৈল্পিকভাবে সমৃদ্ধ না হলে কোনো ছায়াছবি জনগণের কাছে ঈপ্সিত বার্তা পৌঁছে দিতে পারে না। তবে এ ছবি ব্যর্থ হয়েছে বলা যাবে না। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা এ ছবির গান ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ প্রাণের সংগীত হিসেবে দেশবাসীর কাছে আদৃত হয়।

মোহাম্মদ আবদুল জব্বার ও শাহনাজ রহমতুল্লাহ: ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানের দুই শিল্পী
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার ও শাহনাজ রহমতুল্লাহ: ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানের দুই শিল্পী

জয় বাংলা ছায়াছবির স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে উনসত্তরের গণজাগরণের উত্তাল দিনগুলোকে মনে পড়ে যায়। ওই সময় দেশের জন্য কী করতে পারি ভেবে আমরা কয়েকজন একতাবদ্ধ হয়েছিলাম। আমাকে ঢাকায় ডেকে আনা হয়েছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। প্রাথমিক আলোচনা হয় পরিচালক ফখরুল আলমের সঙ্গে। ষাটের দশকের শুরুতে তাঁর সঙ্গে পরিচয়। জেনারেল আইয়ুবের সামরিক আইন-বিরোধী আন্দোলনে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অবিসংবাদিত ছাত্রনেতা ফখরুল আলম। ষাটের দশকের শেষ ভাগে তিনি বিন্দু থেকে বৃত্ত চলচ্চিত্র নির্মাণ করে চিত্রপরিচালক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। জয় বাংলা ছায়াছবি সম্পর্কে প্রথম আলোচনায় তিনি জানান, আমাকে জয় বাংলা নামে একটি চলচ্চিত্রের কাহিনি লিখতে হবে, যেখানে পূর্ব পাকিস্তানের বঞ্চনা ও পাকিস্তানের শোষণের ইতিহাস বা ঘটনা থাকবে। এ ব্যাপারে শেখ ফজলুল হক মণির সঙ্গেও বিশদ আলাপ করে নেওয়া যেতে পারে।
শেখ ফজলুল হক মণির সঙ্গে আমার পরিচয় ১৯৫৯ সালে। তিনি তখনই ছাত্রনেতা, আমি দৈনিক ইত্তেফাকের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক। ছায়াছবির কাহিনি সম্পর্কে মণি জানালেন, এই ছবিতে ছয় দফা নিয়ে ছয়টি পৃথক পৃথক গল্প থাকতে হবে। গল্পের মাধ্যমে প্রতিটি দফাকে আলাদাভাবে হাইলাইট করতে হবে।
আমি জানতে চাইলাম, ছবিটি কি প্রামাণ্যনির্ভর হবে?
অবশ্যই ফিচার ফিল্ম। ছয় দফা নিয়ে ছয়টা গল্প দিয়ে একটা সম্পূর্ণ ছায়াছবি।
এটা সম্ভব হবে না। ফিচার ফিল্ম করতে হলে একটি অবিচ্ছিন্ন ধারাবাহিক কাহিনি থাকতে হবে।
তাহলে তো আমিই লিখতে পারতাম। তোমাকে চট্টগ্রাম থেকে ডেকে আনা হলো কেন? মণি বললেন।
আমি বললাম, তুমিই লেখো। ছয়টা পৃথক পৃথক গল্প নিয়ে ছবি বানালে কেবল তিনজন মিলে এ ছবি দেখতে হবে। তুমি, আমি আর ফখরুল।
শেখ মণি সুর নরম করে বললেন, ব্যাপারটা কঠিন, আমিও বুঝি। সেজন্যই তো তোমার ওপরে গল্প লেখার ভার।
কাহিনি নিয়ে ফখরুল আলমের সঙ্গে আলাপ করে তেমন লাভ হলো না। তিনি জানালেন, শেখ মণির বক্তব্য মেনে কাজটা করতে হবে। ছয়টা পৃথক গল্প নিয়ে একটি ছায়াছবি, চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। আপনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েক দিন ছুটি নিয়ে ঢাকায় এসে কাজে লেগে যান।
আমার ধারণা ছিল শেখ মণি সম্ভবত ছবির প্রযোজক। সে জন্যই তাঁর বক্তব্য মেনে নিতে হচ্ছে। পরে জানা গেল, ছবিটি প্রযোজনা করছেন মোহাম্মদ আবুল খায়ের। তিনি আওয়ামী লীগের নেতা ও গণপরিষদের সাবেক সদস্য। তাঁর সঙ্গে আমার কখনো দেখা হয়নি। সম্প্রতি তিনি লোকান্তরিত হয়েছেন এবং তাঁকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়েছে।
ছবির কাহিনি লিখতে আমি কয়েক দিনের জন্য ঢাকায় এলাম। ছায়াছবির জগতের সঙ্গে আমার আগে পরিচয় ছিল না। এই ছবির সুবাদে এক অনন্য অভিজ্ঞতা ঘটল আমার জীবনে। ফখরুল একটি হোটেলের রুম বুক করলেন আমার জন্য। সার্বক্ষণিক একটি গাড়ি তৈরি রাখা হলো, যা ফোন করা মাত্রই পৌঁছে যাবে। লেখার সঙ্গে গাড়ির কী সম্পর্ক আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। ফখরুল হেসে বললেন, লেখক কি সারাক্ষণ ঘরে বসে লেখেন নাকি? মাঝেমধ্যে বেড়াতে না বেরোলে মাথায় গল্প আসবে কী করে?
গল্পগুলো ফখরুল চিত্রনাট্যের আকারে লিখতে বললেন। কীভাবে চিত্রনাট্য লিখতে হয়, তাও শিখিয়ে দিলেন। চিত্রনাট্য যথাযথ না হলেও তিনি ঠিক করে নেবেন বলে আশ্বস্ত করলেন। আমি ছয় দফা আত্মস্থ করে তার ভেতর থেকে গল্প বের করে আনার চেষ্টা করলাম। হাতে সময় কম বলে প্রথম চারটি গল্প লেখার পরই শুটিং শুরু হলো। শুটিংয়ে আমিও হাজির থাকলাম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংলাপের পরিবর্তন করতে হলো। শুটিংয়ে গিয়ে ফখরুল খুশি, কিন্তু ছবির পরিণতির কথা ভেবে খুশি হতে পারছি না আমি।
ফখরুল একদিন একটা কাগজ আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন, এটা পড়ে দেখেন।
আমি কাগজটা হাতে নিয়ে দেখলাম একটা খাতার ছেঁড়া পাতা। তাতে একটা কবিতা বা গান লেখা আছে। কিন্তু লেখকের কোনো নাম নেই। আমি পড়লাম, ‘জয় বাংলা বাংলার জয়—হবে হবে হবে হবে নিশ্চয়’।
কার লেখা জিজ্ঞাসা করতে তিনি জানালেন, গানটা গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা। সুর করতে আনোয়ার পারভেজকে দেব। পারভেজ এ ছবির সংগীত পরিচালক।
সুর করার পর গানটা শুনলাম। কণ্ঠ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ আবদুল জব্বার ও শাহনাজ রহমতুল্লাহসহ কয়েকজন কোরাস শিল্পী। এ গানটি ছবিতে ফখরুল যেভাবে ব্যবহার করেছিলেন, তাতে পুরো ব্যাপারটি আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়েছিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেই গান লাখো-কোটি জনতার কণ্ঠসংগীতে পরিণত হয়। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রেও প্রতিদিন গীত হয়েছে এই গান।
তো, ছবির নির্মাণকাজ দ্রুত এগিয়ে চলছিল। এতে অভিনয় করেছিলেন আনোয়ার হোসেন, হাসান ইমাম, ইনাম আহমেদ, আমিনুল হক, শাহানা, আতিয়া, কায়েস, আলেয়া, সিতারা, সুপ্রিয়া, কালিপদ, আমিনুল হক বাদশা ও আরও অনেকে। পরিবেশনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন চিত্রকল্প প্রোডাকশনের ব্যানারে সালাউদ্দীন।
১৯৭০ সালের ২৫ জুন জয় বাংলা ছায়াছবির উদ্বোধন উপলক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হলো। ফখরুল জানালেন, সাংবাদিকদের সামনে আমাকে কাহিনি বর্ণনা করতে হবে এবং তাঁদের প্রশ্নের জবাব দিতে হবে। এ দায়িত্ব তাঁরই পালন করার কথা। কী কারণে তিনি আমাকে সামনে ঠেলে দিলেন বুঝলাম না। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার অনেক পত্রিকার সম্পাদক, সাংবাদিক ও চিত্রসাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন বাংলার বাণীর সম্পাদক শেখ ফজলুল হক মণি, অন্য একটি দৈনিকের সম্পাদক ও ছাত্রনেতা আবুল বাশার মৃধা, দি পিপলের নির্বাহী সম্পাদক আতিকুর রহমান মনু, দৈনিক খবর ও চিত্রবাংলার হারুনুর রশীদ খান, চিত্রালীর মাহফুজ সিদ্দিকী, দৈনিক পাকিস্তানের চিন্ময় মৃৎসুদ্দী, সাপ্তাহিক ললনার নির্বাহী সম্পাদক ’৭১-এর শহীদ মুহম্মদ আখতারসহ অনেকে। পরিচালক ফখরুল আলম ও ছবির সংগীত পরিচালক আনোয়ার পারভেজও উপস্থিত ছিলেন। পরদিন প্রায় সব পত্রিকায় গুরুত্বসহকারে জয় বাংলার খবর ছাপা হলো। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বসহকারে নেতিবাচক সংবাদ ছাপা হলো দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায়। পত্রিকার প্রথম পাতায় চার কলামব্যাপী সংবাদে লেখা ছিল ছায়াছবিতে রাজনৈতিক আগ্রাসনজাতীয় কিছু কথা। জয় বাংলা ছায়াছবিতে ছয় দফা এবং সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয় উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হলো। দুদিন পরে একই পত্রিকায় ‘ছায়াছবিতে রাজনীতি’ শিরোনামে দুই কলামব্যাপী দীর্ঘ সম্পাদকীয়তে এ ছবির নাম উল্লেখ করে রাজনৈতিক অপচেষ্টা চালানোর তীব্র নিন্দা করা হয়। এরপর থেকে ইসলামি মৌলবাদী দলগুলো জয় বাংলার বিরুদ্ধে বক্তৃতা ও বিবৃতি দিতে থাকে।
’৭০-এর জুলাই মাসে দৈনিক ইত্তেফাকের বার্তা সম্পাদক সিরাজুদ্দীন হোসেন খবর পাঠালেন আমাকে দেখা করতে। আমি ইত্তেফাক অফিসে যেতে তিনি উদ্বিগ্ন স্বরে বললেন, তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে।
কী অভিযোগ? আমি জানতে চাইলাম।
তুমি সাংবাদিকদের কী বলেছ, যা দেশ ও জাতির স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়?
ইসলামি মৌলবাদী দলগুলো...
সিরাজ ভাই আমার কথা শেষ হতে দিলেন না। উল্টো বললেন, আমি ক্যান্টনমেন্ট থেকে কথাটা শুনেছি। তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। তুমি সাবধানে থাকবে।
সিরাজ ভাই আমার চিরকালের শুভানুধ্যায়ী। তাঁর সাবধানবাণী শিরোধার্য। তবে কীভাবে সাবধান হব, তা-ই বুঝতে পারলাম না। কয়েক দিন বাসা থেকে অন্যত্র লুকিয়ে থাকলাম। কিন্তু আমাকে সাবধান করে নিজেই সাবধানে থাকতে পারলেন না সিরাজ ভাই। ’৭১-এর ডিসেম্বরে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের শিকার শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন। তাঁর লাশও পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গিয়ে আমার মনে হলো, আমি নিরাপদ। আমি যে ঢাকার বাইরে গিয়েও নিরাপদ নই, টের পেলাম কিছুদিনের মধ্যেই।
’৭১-এর প্রথম থেকেই মুক্তিযুদ্ধের দামামা বেজে উঠল। মার্চে শোনা গেল বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ছেড়ে কুণ্ডেশ্বরীতে আশ্রয় নিলেন। তারপর তাঁরা একযোগে সীমান্ত পেরিয়ে চলে গেলেন ভারতে। আমি প্রথমে কুণ্ডেশ্বরীতে গেলেও পরে পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামে-গ্রামান্তরে পালিয়ে বেড়াতে থাকলাম। একপর্যায়ে লোকমুখে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার মৃত্যু সংবাদ শুনে প্রাণ বাঁচাতে দেশান্তরি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ডিঙিয়ে প্রায় হেঁটে পৌঁছালাম আগরতলা।
জয় বাংলা ছায়াছবিটি ’৭০ সালের শেষ ভাগে পাকিস্তান সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই পরিণতি অপ্রত্যাশিত ছিল না। কিন্তু দেশে তখন স্বাধীনতার সূর্যোদয়ের লাল আভা দেখা দিয়েছে। অবশেষে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তি পেয়েছিল ছবিটি। ’৯০ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতনের পর শেখ হাসিনা ছবিটি দেখেন।
এ লেখার শুরুতে বলেছি জয় বাংলা ছায়াছবি নিয়ে আমার মনে তেমন গৌরববোধ কখনো ছিল না। তবে গৌরববোধ ছিল ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি নিয়ে। ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি বাঙালির জাতিসত্তার মূলমন্ত্র এবং আমাদের অন্তরাত্মার অনুরণন। এই ছায়াছবির মধ্য দিয়ে আমরা কজন সেই ধ্বনি জনজীবনে উচ্চকিত করে তোলার প্রয়াস পেয়েছিলাম।