সাগরের তারা ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'

বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’। ঘূর্ণিঝড়টির নাম ‘মোরা’ কেন, নামটি কোত্থেকে এল—তা নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, থাইল্যান্ডের কাছ থেকে আসা প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই ঘূর্ণিঝড়টির (মোরা) নামকরণ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামছুদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মোরা’ একটি থাই শব্দ। শব্দটি ইংরেজি অর্থ ‘স্টার অব দ্য সি’। বাংলা করলে দাঁড়ায় ‘সাগরের তারা’।
গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে অহরহ ঘূর্ণিঝড় হয়। কোথায় কখন কোন ঝড় হয়, তা নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে ঝড়ের আগাম নামকরণ করা হয়। ১৯৪৫ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে ঝড়ের নামকরণ শুরু হয়।
সাধারণত আঞ্চলিক পর্যায়ের নিয়ম অনুসরণ করে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়। পূর্বনির্ধারিত নামের তালিকা থেকে একেকটি ঝড়ের নাম দেওয়া হয়।
১৯৯৯ সালে ওডিশায় ঘূর্ণিঝড়ের পর ২০০০ সালে ওয়ার্ল্ড মেটিওরলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএমও) ও এসকাপ তাদের বৈঠকে উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ শুরুর বিষয়ে একমত হয়। ২০০৪ সালে প্রথম অনিল ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে থাইল্যান্ডে এসকাপ ও ডব্লিউএমওর ঘূর্ণিঝড় বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বৈঠকে ছয়টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম আগাম ঠিক করে রাখা হয়। প্রথম ঘূর্ণিঝড়টি গত ১৭ এপ্রিলে ভারত উপকূলে দুর্বল অবস্থায় আঘাত হানে। এরপরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছিল মোরা। পর্যায়ক্রমে যে ঘূর্ণিঝড়গুলো আসবে, এগুলোর নাম যথাক্রমে—ওচি, সাগর, ম্যাকুনু ও ডায়ে।