ভাঙা সড়কে ট্রাক বিকল, পাঁচ কিলোমিটার যানজট

কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে কয়েকটি ট্রাক বিকল হওয়ায় দীর্ঘ যানজট। ছবি: তৌহিদী হাসান
কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে কয়েকটি ট্রাক বিকল হওয়ায় দীর্ঘ যানজট। ছবি: তৌহিদী হাসান

কুষ্টিয়ায় ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা সড়কে কয়েকটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়ায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আজ বুধবার সকালে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার করে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের মোট ২৪ কিলোমিটারের মধ্যে ২১ কিলোমিটারই ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা। প্রতিদিনই এই সড়কে যানবাহন বিকল হয়ে পড়ে।

জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশের চৌড়হাস ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) জয়নুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার রানাখড়িয়া জ্যোতি তেলপাম্প এলাকা থেকে ভেড়ামারা বারমাইল পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারের মধ্যে অন্তত দশটি ট্রাক গতকাল রাতে বিকল হয়ে পড়ে। এতে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙা সড়কে পড়ে এসব ট্রাক বিকল হচ্ছে। এতেই গাড়ির জট বেঁধে যাচ্ছে। এ রকম ঘটনা প্রতিদিনই হচ্ছে।

জয়নুল ইসলাম বলেন, সড়ক ভাঙার কারণে যান বিকল হয়ে যানজট হচ্ছে। একপাশ বন্ধ করে আরেক পাশ ছাড়া হচ্ছে। এভাবে গাড়ি বের করার চেষ্টা চলছে।
আজ বেলা ১১টায় নওদা গোবিন্দপুর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের ওপর শত শত যানবাহন দাঁড়িয়ে। থেমে থেমে একটু একটু করে এগোচ্ছে গাড়ি।

কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে ২৪ কিলোমিটারের মধ্যে ২১ কিলোমিটারই ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা। ছবি: তৌহিদী
কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে ২৪ কিলোমিটারের মধ্যে ২১ কিলোমিটারই ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা। ছবি: তৌহিদী

জটে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের চালক মো. নওয়াজ আলী বলেন, ‘দুই ঘণ্টা ধরে জ্যামে আছি। বেনাপোল থেকে রওনা দিয়েছি গাজীপুর যাওয়ার জন্য। কুষ্টিয়া শহর থেকে ছয় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে তিন ঘণ্টা লেগেছে।’

আরেক ট্রাক চালক মোহাম্মদ মিন্টু বলেন, ‘দেড় ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। রাস্তাঘাটের এমন পজিশন চলার মতো নেই। এমন কোনো দিন নাই এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। ময়মনসিংহ যেতে হবে। কখন যাব বুঝছিনা।’

যাত্রীরা বলছেন, আধা ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে প্রায় দুই ঘণ্টা। কখনো ঘণ্টার পর ঘণ্টা সড়কে থেমে থাকে গাড়ি।

কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, এ সড়ক মেরামতের জন্য প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়ার সম্পন্ন হয়েছে। এখন সেটি বিভাগীয় পর্যায়ে মূল্যায়নে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, মার্চের শেষের দিকে কাজ শুরু হয়ে যাবে।