একবারই এদের একটি বাসা পাওয়ার রেকর্ড আছে বাংলাদেশে। পাখিটির ইংরেজি নাম ব্লু–থ্রোটেড ব্লু–ফ্লাইকেচার। সরাসরি বাংলা করলে অর্থ দাঁড়ায় নীলগলার নীল চটক। বৈজ্ঞানিক নাম Cyornis rubeculoides.
পুরুষ পাখির গলা-মাথা-ঘাড়-পিঠসহ লেজের উপরিভাগ গাঢ় নীল। বুকটা চমৎকার কমলারঙা। তার নিচ থেকে শুরু করে পেটটা সাদা। মেয়ে পাখির গলা ক্রিম মাখানো কমলাটে, বুক কমলা, পেট সাদা। পা ধূসর। দৈর্ঘ্যে এরা ১৪ সেন্টিমিটার হয়। ওজন গড়পড়তা ১৬ গ্রাম। ঠোঁটের গোড়ায় গোঁফপালক আছে।
তীক্ষ্ণ–সুরেলা কণ্ঠে ‘ছিক্ ছিক্ ছিক্ ছিক্’ শব্দে অনবরত গান গেয়েই চলে। এদের চারণক্ষেত্র ঘাসবন, হোগলাবন, ধানখেত, ঝোপঝাড়। মূল খাদ্য পোকামাকড়। শিকার দেখলেই অনেকটা খেলনা কাগজের প্লেনের মতো বাতাসে সাঁতার কেটে গিয়ে শিকার ঠোঁটে পুরে নেয়। তারপর শিকার নিয়ে গিয়ে অন্য কোনো জায়গায় বসে সাবাড় করে। প্রয়োজনে ঘাসবনের তলায় নেমে মাকড়সা-ঘাসফড়িং পাকড়াও করে। গান গাওয়ার সময় লেজটা নাচিয়ে এরা নান্দনিক সৌন্দর্য সৃষ্টি করে।