জাবিতে ৬ শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় আরও ছয়জন শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। ওই ছয় সাধারণ শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের তিন কর্মী মারধর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলে এই ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, বিকেলে মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের প্রত্যেকটি কক্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের নামের তালিকা করছিলেন ৪৬তম ব্যাচের ছয় শিক্ষার্থী। তাঁরা হলেন মার্কেটিং বিভাগের জনি, চারুকলা বিভাগের রেজা, রসায়ন বিভাগের ফরিদ, দীপু ও তারেক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাগর সিদ্দিকী। তাঁরা ৩৪৯ নম্বর কক্ষে গিয়ে লতিফুর রহমান নামের বাংলা বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে তাঁর পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। লতিফুর তালিকা করার কারণ জানতে চাইলে তাঁদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ওই ছয় শিক্ষার্থী লতিফুরকে মারধর করেন।

এ ঘটনায় সন্ধ্যায় ওই ছয় শিক্ষার্থীর বিচার করতে হলের অতিথি কক্ষে বসেন ছাত্রলীগের তিন কর্মী শিহাব উদ্দিন, রবিউল ইসলাম ও আদনান সরকার। তাঁরা ওই ছয় শিক্ষার্থীকে চড়-থাপ্পড় দেন। একপর্যায়ে আদনান সরকার মার্কেটিং বিভাগের জনিকে রড দিয়ে আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হন জনি। পরে তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কর্মী আদনান সরকার বলেন, ‘ছয়জন শিক্ষার্থী লতিফুর নামের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমরা হলের অতিথি কক্ষে বসি। কিন্তু কারও গায়ে হাত তুলিনি।’

মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ শফি মুহাম্মদ তারেক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই হলের ওয়ার্ডেন, আবাসিক শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল টিমের একজন সদস্য হলে যান। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মিটমাট করে দিয়েছেন।’

ওই তিনজন ছাত্রলীগের কর্মী বলে নিশ্চিত করেন জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই ঘটনার পর বিষয়টি মিটমাটও হয়েছে। এরপরও যদি কোনো সমস্যা হয়, তবে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।