বার্ডে বাহারি ফুল ভোলাচ্ছে পর্যটকদের মন

বাগানে নানা জাতের ফুলের পরিচর্যা করছেন মালি। গত রোববার কুমিল্লার বার্ডে।  প্রথম আলো
বাগানে নানা জাতের ফুলের পরিচর্যা করছেন মালি। গত রোববার কুমিল্লার বার্ডে। প্রথম আলো

কুমিল্লার কোটবাড়িতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে (বার্ড) ফুটেছে অন্তত ৫০ প্রজাতির বাহারি ফুল। এখানকার ১০টি বাগান ও নার্সারিতে শোভা পাচ্ছে ফুলগুলো। এসব ফুল ও ফুলের চারা বিক্রি করে আয় করছে প্রতিষ্ঠানটি। একই সঙ্গে মন ভোলাচ্ছে পর্যটকদেরও।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নন্দনপুর থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিমে এবং কুমিল্লা নগর থেকে সাত কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত বার্ড। লালমাই পাহাড় ও পাহাড়ের পাদদেশে ১৫৬ একর জায়গা নিয়ে এর ক্যাম্পাস। সেখানকার মালিদের নিয়মিত পরিচর্যায় একেকটি বাগানে এখন ফুলের সমারোহ। এর সৌরভ ছড়িয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসে।

গত রোববার সরেজমিন দেখা যায়, বার্ডের প্রধান ফটক পেরিয়ে ডান ও বাঁ পাশে রয়েছে ফুলের বাগান। মহাপরিচালকের কার্যালয়ের পেছনে বিভিন্ন প্রজাতির গাঁদা ফুল। লালমাই মিলনায়তনের পাশে একটি বাগানে ফুটে রয়েছে কৃষ্ণকলি, চার রঙের চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, স্টার ফুল ও ডালিয়া।

এর পাশেই রক্তে রাঙানো সিলভিয়া, চীনা গোলাপ, কসমস, ইনকা গাঁদা ও চীনা গাঁদা। আখতার হামিদ খান গ্রন্থাগার, ক্যাফেটেরিয়া, বার্ড হোস্টেল, প্রশিক্ষণ ভবন ও শ্রেণিকক্ষের সামনে রয়েছে বড় বড় গোলাপ ফুল। রয়েছে সাদা, লাল, হলুদ ও কমলা রঙের গোলাপ, মেরিগোল্ড ও ফ্লোক্স ফুল।

বাগানের মালি আবদুল জলিল বলেন, ১৫ বছর ধরে তিনি বাগান পরিচর্যা করছেন। প্রতিবছর ফুলের গাছের সংখ্যা বাড়ছে। নিয়মিত পানি ও নিড়ানি দেওয়া হচ্ছে। বাগানে মৌমাছির বাক্স বসানো হয়েছে। সেখান থেকে মধু আহরণ করা হচ্ছে।

বার্ডের কৃষি ও পরিবেশ শাখা সূত্রে জানা যায়, তিন মাস আগে এখানে ইনকা গাঁদার ৩ হাজার ৬২৫টি গাছ, ৭০০টি করে সেলভিয়া ও ডায়ানথাস, ৮০০ জাম্বুগাঁদা, ১০০টি করে পিটুনিয়া, কসমস ও জিনিয়া, ২৫০ চন্দ্রমল্লিকা, ৩০০ স্টার এবং ৮০টি করে গ্লাডিওলাস ও স্লোবলগাছ লাগানো হয়। আগামী মার্চের মধ্যভাগ পর্যন্ত এসব ফুল থাকবে।

জানতে চাইলে বার্ডের কৃষি ও পরিবেশ শাখার সহকারী পরিচালক মো. সালেহ আহমেদ বলেন, প্রতিদিন বার্ডে দেশি-বিদেশি পর্যটক আসেন। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ নিতে আসেন সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। তাঁদের বাড়তি আনন্দ দেওয়ার জন্যই এই বাগান।