কিশোরগঞ্জ জেলা আ.লীগে স্থবিরতা

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কমিটি গঠিত হয় ১৯৯৭ সালে। এরপর ১৬টি বছর কেটে গেলেও নতুন কমিটি হয়নি। ফলে সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
দলীয় সূত্র জানায়, ১৯৯৭ সালে জাতীয় সংসদের তৎকালীন ডেপুটি স্পিকার (বর্তমান রাষ্ট্রপতি) আবদুল হামিদকে সভাপতি ও সাংসদ এ কে এম শামসুল হক গোলাপ মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়।
১৯৯৯ সালে সাংসদ শামসুল হক গোলাপ মিয়া মারা যান। পরে শাহাবুদ্দিন ঠাকুরকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে তিনিও মারা যান। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল। এরই মধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদক জিন্নাতুল ইসলাম ও সহসভাপতি সাহাদত হোসেনও মারা গেছেন।
গত বছরের ১৫ মে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের কর্মিসভায় দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও কিশোরগঞ্জ সদর আসনের সাংসদ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নতুন করে পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন। এরপর প্রায় ১৭ মাস পার হলেও কমিটি গঠনের কোনো উদ্যোগ নেই।
এম এ আফজল বলেন, ‘১৬ বছরে জেলা কমিটির সম্মেলন হয়নি।
গণতান্ত্রিক দল হিসেবে এটা ঠিক হয়নি। আমিও এর দায়িত্বের বাইরে নই। সম্মেলন না হওয়ায় এবং দীর্ঘদিন ধরে নতুন কমিটি না হওয়ায় জেলার দলীয় কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা চলে এসেছে।’ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আনোয়ার কামাল বলেন, ‘১৬ বছর একই পদে আছি। দলকে গতিশীল করতে অবিলম্বে সম্মেলন করে কমিটি গঠন করতে হবে।’
দলের একাধিক সূত্র জানায়, এই অবস্থায় প্রতিশ্রুতিশীল নেতারা দলীয় রাজনীতিতে পেছনে পড়েছেন। অনেকেই রাজনীতিতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। এতে দলের সার্বিক রাজনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
পৌর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম বলেন, জেলায় দায়সারাভাবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। সদর উপজেলার লতিবাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুজ্জামান বলেন, কয়েক বছরে কমিটির কয়েকজন নেতা মারা গেছেন। এতে জেলায় নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা রাষ্ট্রপতির এলাকার মানুষ। বর্তমান সাংসদ রাষ্ট্রপতির ছেলে রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক। তিনিই আমাদের কাজ করে দেন।’