একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ল ২০২০ সাল পর্যন্ত

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাস পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে। আর খরচ বেড়েছে মূল প্রকল্পের প্রায় সাত গুণ। মেয়াদ বাড়িয়ে প্রকল্পটির ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ১০ কোটি টাকা।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পটি ৬৪ জেলার ৪৯০ উপজেলার ৪০ হাজার ৯৫০টি গ্রামে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় গ্রামের পরিবারগুলোকে অর্থনৈতিক ইউনিট হিসেবে তৈরি করা হয়।
২০২০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য হার ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যেই এ প্রকল্পটি নেওয়া হয়। এ প্রকল্পের আওতায় গরিব মানুষকে বিনিয়োগের জন্য অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আবার তাঁদের সঞ্চয় রাখার ব্যবস্থাও করা হয়।
প্রকল্পটির প্রথম পর্যায় শেষ হওয়ার পর পুরো কার্যক্রম দেখভালের কথা ছিল পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার পরও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে বলে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, যেসব পরিবারের সদস্যরা এ প্রকল্প সদস্য হিসেবে আত্মকর্মসংস্থান তৈরির পর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন। তাঁরা সেখানে আমানত রাখতে পারবেন, আবার ঋণও নিতে পারবেন।
উল্লিখিত প্রকল্পটিসহ গতকালের একনেক সভায় ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৪৪৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো ৩৪৬ কোটি টাকায় মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শক্তিশালীকরণ, ২৭১ কোটি টাকায় যশোরে বিএএফ বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ, ৯৮ কোটি টাকায় ঢাকা সিএমএইচে ক্যানসার সেন্টার নির্মাণ, ২৭১ কোটি টাকায় বিজিবি সদর দপ্তরে অফিসার ও অন্যান্য পদধারী ও কর্মচারীদের ভবন নির্মাণ, ১১৩ কোটি টাকায় গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক-দোয়ারা বাজার সড়কের ছাতকে সুরমা নদীর ওপর সেতুর অবশিষ্ট কাজ সমাপ্তকরণ, ১২৫ কোটি টাকায় জামালপুরে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠা, ৬০ কোটি টাকায় দেশের তিনটি উপকূলীয় জেলার চারটি স্থানে আনুষঙ্গিক সুবিধাদিসহ মৎস্য অবতরণকেন্দ্র স্থাপন, ৫৫ কোটি টাকার আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন থেকে হাজী শরীয়তউল্লাহ সেতু-সংলগ্ন ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-খুলনা জাতীয় মহাসড়ক রক্ষা এবং ৯৫ কোটি টাকায় রাজৈর-কোটালীপাড়া বন্যানিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প।