ভেবেচিন্তে এগোচ্ছেন জেসিয়া ইসলাম

জেসিয়া ইসলাম, ছবি: সংগৃহীত
জেসিয়া ইসলাম, ছবি: সংগৃহীত

বারকয়েক সময় নির্ধারিত হওয়ার পরও পরীক্ষার কারণে সেটা পরিবর্তন করতে হলো। অবশেষে মুঠোফোনই ভরসা। শুরুতেই জেসিয়া দুঃখ প্রকাশ করে বললেন, ‘আমার এ-লেভেল চলছে। হুট করে পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। কাজও করতে পারছি না, আবার বাইরে কোথাও যেতেও পারছি না।’
জেসিয়া ইসলাম মিস ওয়ার্ল্ডের চূড়ান্ত আসর থেকে ফিরেছেন বেশ কিছুদিন আগে। সেরা ৪০-এ জায়গাও করে নিয়েছিলেন। কিন্তু বিধি বাম। ফাইনাল অবধি গিয়ে ফিরে এসেছেন। তবে নিজের দেশকে এমন একটা আসরে উপস্থাপন করে দারুণ খুশি। বললেন, ‘এমন সুযোগ পাওয়া সত্যি ভাগ্যের ব্যাপার। আমি দারুণ খুশি। তবে সেরা হতে পারলে ভালো লাগত।’ মিস ওয়ার্ল্ড হতে পারলে সবকিছু বদলে যেত হয়তো। বদলের পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেটা যেহেতু হয়নি, তাই ও পথ আর মাড়াতে চান না। এখন বর্তমান নিয়েই বেশি ব্যস্ত। সেই বর্তমানে সবার আগে গুরুত্ব পেয়েছে পড়াশোনা। আপাতত এ-লেভেল শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান। তারপরই লক্ষ্য চূড়ান্ত করবেন।
ঝুলিতে একটা টেলিছবি, ধারাবাহিকে অভিনয় আর প্রচারের অপেক্ষায় থাকা একটি বিজ্ঞাপন আছে। জেসিয়া বললেন, ‘আমি শুরু থেকেই খুব বেছে বেছে কাজ করছি। গল্প ও চিত্রনাট্য পছন্দ না হলে কাজ করি না। আমার সঙ্গে সময়টা মিলে যাওয়া খুব জরুরি। দেখা যাক কত দূর কী করতে পারি!’
এরই মধ্যে নতুন নতুন কাজের ব্যাপারে অনেকেই যোগাযোগ করছেন। কিন্তু এখনই কিছু বলতে চান না তিনি। সবকিছু ঠিক হলে তবেই সেসব নিয়ে কথা চলবে।
তাহলে ক্যারিয়ার নিয়ে লক্ষ্য কী? জেসিয়া ওপাশে খানিকক্ষণ চুপ থাকেন। তারপর বলেন, ‘আমি এখনো কোনো লক্ষ্য স্থির করিনি। দেখি কত দূর যেতে পারি। ও রকম কোনো কিছুই ঠিক নেই। তবে ইচ্ছা আছে।’
লক্ষ্য স্থির করতে না পারলেও জেসিয়ার ইচ্ছা বড় পর্দায় কাজ করার। বিপরীতে পছন্দের অভিনেতা শাকিব খান বা আরিফিন শুভ হলে তো কথাই নেই। বড় পর্দার শুরুটা এমন বড় অভিনেতার সঙ্গে হলে একটা দারুণ ব্যাপার হবে বলে মনে করেন জেসিয়া।
মিস ওয়ার্ল্ডের চূড়ান্ত আসরে যাওয়ার আগে কিছু সামাজিক কাজের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। এখনো কি সেরকম কোনো কাজ করার ইচ্ছা আছে? জানালেন, আছে, তবে এখনো কিছু চূড়ান্ত করেননি তিনি। পড়াশোনা শেষ করে তবেই মাঠে নামবেন।
জানতে চাই, এভ্রিল তো আপনার খুব কাছের বন্ধু ছিল। শুনে শুরুতেই আপত্তি তোলেন। বলেন, ‘প্রতিযোগিতাতেই আমার সঙ্গে এভ্রিলের পরিচয়। গ্রুমিংয়ের সময় আমার পাশের রুমে থাকত। কথা হতো। ব্যস, ওইটুকুই। তবে বন্ধু নয়।’
প্রশ্ন সংশোধন করে বলি, বন্ধু হোক বা না হোক, এভ্রিল তো নানা ধরনের সামাজিক কাজের পরিকল্পনা করছে। আপনাকে যদি তাঁর সঙ্গে চায়। যাবেন?
জেসিয়া বলেন, ‘ও তো বাল্যবিবাহ নিয়ে কাজ করতে চায়। আমার তো এই চাওয়াটা না-ও থাকতে পারে। আমি হয়তো অন্য কিছু নিয়ে কাজ করব। আর আমার কাজের সঙ্গে যদি মিলে যায়, তবে কেন যাব না।’
এভ্রিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে কারও ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। ও ওর মতো এগিয়ে যাক। এটাই চাওয়া।’
কথা শেষ করার আগে জেসিয়া এত দূর আসার পেছনে দর্শক, ভক্তদের ধন্যবাদ জানান। বলেন, ‘আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। তাঁদের জন্যই আমি জেসিয়া হতে পেরেছি। সবাইকে অনেক বেশি বেশি ধন্যবাদ দিতে চাই। তাঁদের সব সময় আমার সব কাজে তাঁদের ভালোবাসা চাই।’