বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কারের বর্ণাঢ্য আয়োজন

কনকনে শীতেও উষ্ণ হয়ে উঠেছিল এফডিসির উঠান। স্বনামখ্যাত চলচ্চিত্রশিল্পী, কবি, লেখক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি আর ঝলমলে আয়োজনের মধ্য দিয়ে গতকাল সন্ধ্যায় প্রদান করা হয় বাচসাস চলচ্চিত্র পুরস্কার।
২০০৯ থেকে ২০১৩—এ পাঁচ বছরের চলচ্চিত্রের ওপর দেওয়া পুরস্কারের এ আয়োজনে ২০০৯ সালে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয় প্রিয়তমেষু, শ্রেষ্ঠ পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম, যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান গঙ্গাযাত্রা চলচ্চিত্রের জন্য ফেরদৌস এবং মনপুরার জন্য চঞ্চল চৌধুরী। গঙ্গাযাত্রা চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পান পপি।
২০১০ সালের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র গহীনে শব্দ, শ্রেষ্ঠ পরিচালক খালিদ মাহমুদ মিঠু (গহীনে শব্দ), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা শাকিব খান (ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী মৌসুমী (গোলাপী এখন বিলেতে)।
২০১১ সালের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র গেরিলা, শ্রেষ্ঠ পরিচালক নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু (গেরিলা), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা আমিন খান (গরীবের মন অনেক বড়), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী জয়া আহসান (গেরিলা)।
২০১২ সালের সেরা ছবি রানওয়ে, শ্রেষ্ঠ পরিচালক তারেক মাসুদ (রানওয়ে), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা মাসুদ আখন্দ (পিতা), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী ববিতা (খোদার পরে মা)। ২০১৩ সালের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র মৃত্তিকা মায়া, শ্রেষ্ঠ পরিচালক গাজী রাকায়েত (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা তিতাস জিয়া (মৃত্তিকা মায়া), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী যৌতভাবে অপু বিশ্বাস (মাই নেম ইজ খান) এবং মাহিয়া মাহি (ভালোবাসা আজকাল)। বাচসাসের ৩৮তম এ আসরে আজীবন সম্মাননা জানানো হয় নায়করাজ রাজ্জাক, নায়িকা কবরী ও পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামকে। এ ছাড়া বিশেষ সম্মাননা জানানো হয় চিত্রপরিচালক শহিদুল ইসলাম খোকনকে।
আজীবন সম্মাননার অনুভূতি জানাতে গিয়ে নায়ক রাজ্জাক এ পুরস্কারকে এ-দেশীয় অস্কার বলে অ্যাখ্যা দেন।
বাচসাসের সভাপতি আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।