চলে গেলেন খন্দকার নুরুল আলম

খন্দকার নুরুল আলম
খন্দকার নুরুল আলম

প্রখ্যাত সুরকার খন্দকার নুরুল আলম মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

খন্দকার নুরুল আলমের মৃত্যু খবর প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন গীতিকার রফিকুজ্জামান। খন্দকার নুরুল আলমের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন তিনি। তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। রফিকুজ্জামন বলেন, ‘খন্দকার নুরুল আলমের মৃত্যুতে জাতি যে কি হারিয়েছে তা বুঝতে সময় লাগবে। আর আমি তো আমার জীবনের অর্ধাংশ হারিয়ে ফেললাম। আমার সংগীতজীবনের শুরুটাও হয়েছিল তাঁর মাধ্যমে। তিনিই আমার প্রথম গান ‘যে সাগর দেখে তৃপ্ত দু’চোখে’র সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন। সব মিলিয়ে আমার জীবনের শতাধিক গানের সুর ও সংগীতপরিচালনা করেন তিনি। সেই হিসেবে বলতে পারি, আমার জীবনের পুরোটা জুড়ে তিনি ছিলেন।’

খন্দকার নুরুল আলম বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা সুরকার। অসংখ্য গানে সুর দেওয়ার পাশাপাশি তিনি অনেক চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেছেন। ‘উজালা’ (ঊর্দু), ‘ওরা এগারো জন’, ‘দেবদাস’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘শাস্তি’, ‘শংখনীল কারাগার’, ‘বিরাজ বৌ’-এর মত দর্শকনন্দিত ও সমালোচকদের প্রশংসাধন্য চলচ্চিত্রগুলোর সংগীত পরিচালক ছিলেন তিনি। তাঁর সুর দেওয়া গানে কন্ঠ দিয়েছেন এ দেশের খ্যাতিমান বহু সংগীতশিল্পী। এঁদের মধ্যে আছেন সুবীর নন্দী, অ্যান্ড্রু কিশোর, রুনা লায়লা প্রমুখ।

দীর্ঘ সংগীতজীবনে খন্দকার নুরুল আলম ছয় শাতাধিক গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় গানের মধ্যে আছে ‘চোখ যে মনের কথা বলে’, ‘পাহাড়ের কান্না দেখে’, ‘এত সুখ সইব কেমন করে’।
খন্দকার নুরুল আলম ১৯৩৯ সালের ১৭ আগষ্ট ভারতের আসামে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অনেক শুভাকাঙ্খি ও গুণগ্রাহি রেখে গেছেন।