চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কার ও গান সংগ্রহের ধারাক্রম

>আবিষ্কারের পর চর্যাপদের ধর্ম-দর্শন, লিপি, ভাষা, সুর-সংগীত, কালপর্ব, রচয়িতা, পুঁথি, অনুবাদ প্রভৃতি নিয়ে শতাধিক গবেষণাকর্ম সম্পাদিত হয়েছে। পুঁথি নিয়ে কাজ হয়েছে কম। চর্যাপদের পুঁথি আবিষ্কার ও গান সংগ্রহের ধারা নিচে ক্রমে উল্লেখ করা হলো।

১৯০৭ নেপালের রাজদরবার গ্রন্থাগার থেকে হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যাপদ পুঁথিটি আবিষ্কার করেন, যা ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়।
১৯২০ রাহুল সাংকৃত্যায়ন এ বছর থেকে পরবর্তী এক দশকে কয়েকবার তিব্বত সফর করে সেখান থেকে ২০টি চর্যাগীতি সংগ্রহ করতে সমর্থ হন। ১৯৫৪ সালে সেগুলো এলাহাবাদ থেকে প্রকাশিত হয়।
১৯৩৮ প্রবোধচন্দ্র বাগচী তিব্বতি ভাষায় চর্যাপদ আবিষ্কার করেন এবং তা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জার্নালে প্রকাশ করেন।
১৯৬৩ শশীভূষণ দাশগুপ্ত এ বছর নেপাল ও তরাই অঞ্চল থেকে ২৫০টি পদ আবিষ্কার ও সংগ্রহ করেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে চর্যাপদগুলো ১৯৮৮ সালে অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়।
১৯৭৭ নীলরতন সেন নেপালের রাজদরবার থেকে মূল নিদর্শনের আলোকচিত্র ধারণ করেন, যার সচিত্র সংস্করণ চর্যাগীতিকোষ নামে সিমলা থেকে প্রকাশিত হয়।
২০১৮ সালে সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ নতুন চর্যাপদ নামে ৩৩৫টি পদের একটি সংগ্রহ প্রকাশ করেন ঢাকা থেকে।
মামুন অর রশীদ: সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর িবশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।