মধ্যরাতের অশ্বারোহী

ধারণা করি, জাতি আজ শ্রদ্ধেয় ব্যারিস্টার ইশতিয়াক, অ্যাডভোকেট শামসুল হক চৌধুরী ও কবি-সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদের খুব অভাববোধ করছে। স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দুই নেত্রীকে তাঁরাই একসঙ্গে রাজপথে হাঁটাতে পেরেছিলেন। বিনিময়ে আমাদের অনেক ত্যাগের ও সাধের গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল। মধ্যরাতের অশ্বারোহী ফয়েজ আহমেদ আর নেই। দুই নেত্রীও এক মেরুতে নেই। তাঁদের অবস্থান বিপরীতমুখী। প্রতিনিয়তই দুজন দুজনকে পরাজিত করার খেলায় মত্ত। একজন অপরজনকে অবরোধ করেন। অপরজন পুরো দেশ অবরুদ্ধ করেন। এ যেন শিল-পাটার ঘষাঘষি, যাতে জনগণ নামের মরিচের প্রাণ যায়।
আমরা সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত সত্যিকারের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চাই। সে জন্য দরকার অহিংসা, সমঝোতা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা। কিন্তু বেদনাদায়ক সত্য, বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে এসব নির্বাসনে গেছে। বিশেষ করে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে তা মহা সমস্যার রূপ নিয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষ ৪৩ বছর ধরে স্বপ্ন দেখছে আর দুঃস্বপ্নে ঘুম ভাঙছে। স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত করার জন্য চাই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ, সমঝোতা ও সহযোগিতা। বিশেষ করে, বড় দুই দল ও দুই নেত্রীর মধ্যে। কেউ কি মধ্যরাতের অশ্বারোহী হবেন?
আরেফিন সুমন, ঢাকা।