ব্র্যাকের সবার ‘আবেদ ভাই’

ব্র্যাককে ক্ষমতার রাজনীতি থেকে দূরে রেখে সরকারের সহযোগী হিসেবে মানুষের বিবিধ সুযোগ–সম্ভাবনা তৈরির একটি পাটাতন হিসেবেই তৈরি করতে চেয়েছেন আবেদ।

ব্র্যাক স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্যার ফজলে হাসান আবেদব্র্যাকের সৌজন্যে

ফজলে হাসান আবেদ ও ব্র্যাক মূলত একই গল্পের এপিঠ–ওপিঠ। সিলেটের হবিগঞ্জের হাসান পরিবারের সন্তান আবেদ গত শতাব্দীর পঞ্চশ দশকে ব্রিটেন গিয়েছিলেন খানিকটা ব্যতিক্রমী এক বিষয়ে পড়তে—নেভাল আর্কিটেকচার। পরে বিষয় বদলে পড়লেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্সি। বিলেত থেকে ফিরে এসে চাকরি নিলেন তেল কোম্পানি শেলের উচ্চ পদে। লক্ষ করি, কেতাদুরস্ত, অভিজাত করপোরেট পেশাজীবী আবেদ যে পরিশেষে হয়ে উঠলেন পৃথিবীর বৃহত্তম উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের রূপকার, তার নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশের দুটি ঘটনা—প্রথমটি ১৯৭০ সালের ভোলা সাইক্লোন, অন্যটি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ।

তৃতীয় বিশ্বের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের স্বাধীনতার সূচনালগ্নে প্রায় শূন্য অর্থনীতি এবং ভঙ্গুর রাষ্ট্রকাঠামোর ভেতর জন্ম নেওয়া একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৫০ বছরে একটা বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার দ্বিতীয় কোনো উদাহরণ নেই। উন্নয়ন সংস্থাবিষয়ক নানা তর্ক বিবেচনায় রেখেই পশ্চিমা দেশের বাইরে ব্র্যাকের মতো একটি সংগঠনের উত্থান এবং তার নেপথ্যের কারিগর ফজলে হাসান আবেদের জীবন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি কৌতূহলোদ্দীপক অনুষঙ্গ বলে আমি মনে করি।

আবেদ বলতেন, ‘স্মল ইজ বিউটিফুল বাট লার্জ ইজ নেসেসারি’। ফলে শাল্লার কয়েকটি গ্রামে শুরু হওয়া ব্র্যাক এখন দেশের সব কটি জেলায় উন্নয়নকাজ চালায়, যার কর্মীর সংখ্যা লক্ষাধিক, চালায় বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক, বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং, আড়ং, ডেইরিসহ নানা প্রকল্প। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে ব্র্যাক এখন কাজ করে পৃথিবীর ১০টি দেশে।

১৯৬৯ সালে লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন আবেদ। দেশে তখন গণ–অভ্যুত্থান। এর কিছুকাল পরেই ঘটে ১৯৭০–এর ভয়াবহ ভোলা সাইক্লোন। লাখো প্রাণহানি ঘটলেও পাকিস্তানি সরকারের এ সাইক্লোনের ব্যাপারে নির্লিপ্ততা এই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে একটি রাজনৈতিক ঘটনায় পরিণত করে। সাইক্লোনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপ মনপুরায় গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, মাওলানা ভাসানী। উপদ্রুত সেই এলাকায় আবেদও গিয়েছিলেন। ওই সময় শেল কোম্পানির চিফ অ্যাকাউন্ট্যান্ট অফিসারের রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকায় যাওয়ার ব্যাপারটি লক্ষণীয়। সাক্ষাৎকারে আবেদ বলেছেন, মনপুরায় মানুষের যে সীমাহীন অসহায়ত্ব সেদিন তিনি দেখেছেন, সেটি তাঁর জীবন বদলে দিয়েছিল। নিজের অভিজাত জীবনকে তাঁর মনে হয় মূল্যহীন। দেশি–বিদেশি বন্ধুদের নিয়ে এইচইএলপি (HELP) নামে একটি সংগঠন তৈরি করে শুরু করলেন ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের কাজ।

ফজলে হাসান আবেদ (২৭ এপ্রিল ১৯৩৬—২০ ডিসেম্বর ২০১৯)

এর পরপরই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। নানা কৌশলে আবেদ তখন চট্টগ্রাম থেকে করাচি, কাবুল হয়ে পৌঁছে যান লন্ডনে এবং শেল কোম্পানি থেকে ইস্তফা দেন। বাঁক ঘোরে তাঁর জীবনের। লন্ডনে গিয়ে গঠন করেন ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ নামের সংগঠন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিদেশে জনমত তৈরি ও তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে। আর দেশ স্বাধীন হলে নিজের জেলা সিলেটের (এখন সুনামগঞ্জ) যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা শাল্লায় শুরু করেন পুনর্বাসনের কাজ। লন্ডনের ফ্ল্যাট বিক্রি করে পাওয়া হাজার ছয়েক পাউন্ড আর অক্সফামের দেওয়া তহবিল নিয়ে ১৯৭২ সালে গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন অ্যাসিসট্যান্স কমিটি’—সংক্ষেপে ব্র্যাক। তবে অচিরেই বুঝতে পারেন, শুধু পুনর্বাসনে দরিদ্র মানুষের অবস্থার পরিবর্তন হবে না, প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের। তখন ব্র্যাক (BRAC) কথাটি ঠিক রেখে সংগঠনের নাম বদলে করেন—‘বাংলাদেশ রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি’।

হিসাববিজ্ঞানের ছাত্র আবেদ একটু একটু করে শিখে নেন উন্নয়নের ব্যাকরণ এবং বদলে দেন উন্নয়ন সংস্থার প্রচলিত সংজ্ঞাও। আবেদ বলতেন, ‘স্মল ইজ বিউটিফুল বাট লার্জ ইজ নেসেসারি’। ফলে শাল্লার কয়েকটি গ্রামে শুরু হওয়া ব্র্যাক এখন দেশের সব কটি জেলায় উন্নয়নকাজ চালায়, যার কর্মীর সংখ্যা লক্ষাধিক, চালায় বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক, বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং, আড়ং, ডেইরিসহ নানা প্রকল্প। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে ব্র্যাক এখন কাজ করে পৃথিবীর ১০টি দেশে।

আবেদ তাঁদের বলেছিলেন, এটা চাকরি না, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটাকে নতুন করে গড়ার কাজ। কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার হলো, সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা এঁদের অধিকাংশই প্রত্যক্ষ–পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন বাম রাজনীতির সঙ্গে।

সত্তরের দশক থেকে আবেদের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করেছেন যে ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা, তাঁরা যখন ব্র্যাকে যোগ দিয়েছিলেন, তখন এটি ছিল এক অখ্যাত সংগঠন, আবেদকেও কেউ চিনতেন না। চাকরির জন্য সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারের বদলে তাঁদের সঙ্গে গল্প জুড়ে দিয়েছিলেন আবেদ। প্রায় সবাই–ই স্মরণ করতে পারেন, আবেদের কক্ষ থেকে তাঁরা বেরিয়েছিলেন ভিন্ন এক মানুষ হয়ে। আবেদ তাঁদের বলেছিলেন, এটা চাকরি না, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটাকে নতুন করে গড়ার কাজ। কৌতূহলোদ্দীপক ব্যাপার হলো, সদ্য বিশ্ববিদ্যালয় পাস করা এঁদের অধিকাংশই প্রত্যক্ষ–পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন বাম রাজনীতির সঙ্গে। তাঁরা জানিয়েছেন, সে সময়ের ঘোলাটে রাজনীতি, বিশেষত বাম রাজনীতির অন্তহীন তাত্ত্বিক বিতর্ক, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বিভক্তির হতাশায় জনগণের জন্য কাজ করার একটা বিকল্প প্ল্যাটফর্ম হিসেবে সবাই তখন দেখেছিলেন ব্র্যাককে। সেসব দিনের স্মৃতিচারণা করেন তাঁরা, যখন বাংলাদেশের নানা প্রান্তে মাইলের পর মাইল হেঁটেছেন আবেদ, মানুষের বাড়ির উঠানে বসে তাঁদের কথা শুনছেন, হারিকেন জ্বালিয়ে রাত জেগে সভা করছেন।

নব্বইয়ের দশকে আবেদ ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে নিজেও দেখেছি তৃণমূল মানুষের কথা নিবিষ্টভাবে শোনার ক্ষেত্রে তাঁর কেমন দক্ষতা। বিলেতফেরত, পাইপ ফোঁকা আবেদ গ্রামের মাঠে ভিন্ন মানুষ।

আবেদ একদিন বললেন, ভেবে দেখেছেন ইতিহাসে প্রতিষ্ঠানের ভেতর সবচেয়ে দীর্ঘ সময় টিকে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়। তাই তিনি উদ্যোগ নিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার, সাম্প্রতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে যা এখন দেশসেরা।

ব্র্যাক কি সরকারের বিকল্প, না বিপক্ষ? পশ্চিমা স্বার্থরক্ষাকারী সংস্থা? সামাজিক বিপ্লব ঘটাতে চায়, না ঠেকাতে চায়? উন্নয়নের নামে এটি কি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান?—এসব প্রশ্ন আছে ব্র্যাককে ঘিরে। এসব প্রশ্নের উত্তর আবেদ খুঁজে নিয়েছেন নিরন্তর মাঠ–বাস্তবতার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে। সত্তরের দশকে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন ব্রাজিলের শিক্ষাতাত্ত্বিক পাওলো ফ্রেইরির ‘পেডাগজি অব অপ্রেসড’–এর ধারণায়। প্রচলিত উন্নয়ন মডেলের ব্যর্থতা দেখে শাল্লায় চালু করেছিলেন ফ্রেইরির দরিদ্রের ‘আত্মোপলব্ধি’র মডেল। তাঁর সহযোগীরা জানিয়েছেন, আবেদের স্ত্রী আয়েশা আবেদ তাঁদের বলতেন, আবেদ বিয়ের দিনও তাঁর সঙ্গে ফ্রেইরি নিয়ে আলাপ করেছেন। উল্লেখ্য, আয়েশা আবেদ ছিলেন ব্র্যাক আড়ং প্রতিষ্ঠার মূল কারিগর। প্রাথমিক বছরগুলোয় ব্র্যাক নানা নিরীক্ষামূলক প্রকল্প নিয়েছে রৌমারী, জামালপুর, মানিকগঞ্জে। উন্নয়নের সঙ্গে ক্ষমতাকাঠামো, পিতৃতান্ত্রিকতা আর বাজারের সম্পর্কের পাঠ নিয়েছেন আবেদ এসব প্রকল্প থেকে। ব্র্যাকের গবেষণা বিভাগে কাজ করার সুবাদে দেখেছি, গবেষণার উপাত্ত দিয়ে কী করে প্রতিটি প্রকল্প যাচাই করে নিতে চাইতেন আবেদ। শতাধিক গবেষক নিয়ে ব্র্যাকের ছিল নিজস্ব গবেষণা বিভাগ, যার নজির বাংলাদেশের আর কোনো সংগঠনের নেই। বিশ্ব পটভূমির দিকেও বরাবর চোখ রেখেছেন তিনি। দাতা সংস্থার ওপর নির্ভরতার বিপদ সম্পর্কে সতর্ক হয়েছিলেন মধ্যসত্তরেই, যখন ভারতে জরুরি অবস্থা এবং বাংলাদেশে সামরিক শাসনের পরিপ্রেক্ষিতে বৈদেশিক সাহায্যের ওপর চাপ তৈরি হয়েছিল। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার স্বার্থে প্রেস চালানোর একটি আইনি লড়াই জেতার ঘটনা উদ্বুদ্ধ করেছিল আবেদকে ব্র্যাকের প্রথম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক প্রিন্টার্স চালু করতে। দাতা সংস্থার ওপর ব্র্যাকের নির্ভরশীলতা এখন সামান্যই। আবেদ একদিন বললেন, ভেবে দেখেছেন ইতিহাসে প্রতিষ্ঠানের ভেতর সবচেয়ে দীর্ঘ সময় টিকে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়। তাই তিনি উদ্যোগ নিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার, সাম্প্রতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে যা এখন দেশসেরা।

আবেদ ছিলেন মৃদুভাষী, কিন্তু ব্যবস্থাপক হিসেবে কঠোর। ব্রিটিশ রানি তাঁকে স্যার উপাধি দিলেও ব্র্যাকের সবার কাছে তিনি ‘আবেদ ভাই’।

আবেদ কী করবেন, সে ব্যাপারে যেমন ধারণা রাখতেন, কী করবেন না, তা নিয়েও তাঁর ছিল স্পষ্ট অবস্থান। নানা সময়ে দেশের রাজনীতির মূল মঞ্চে আসার পরিস্থিতি এবং সুযোগ তৈরি হয়েছিল তাঁর। কিন্তু সচেতনভাবে এসব থেকে বিরত থেকেছেন। সুশীল সমাজের মুখপাত্র হিসেবেও জনসমক্ষে বিশেষ সক্রিয় হননি। বরাবর জনপরিসর থেকে নিজেকে আড়ালে রেখেছেন। এখনো লোকের কাছে ব্র্যাক যতটা পরিচিত, আবেদ ততটা নন। ব্র্যাকের রাজনৈতিক অর্থনীতিটি পৃথক আলোচনা দাবি রাখে। ব্র্যাককে ক্ষমতার রাজনীতি থেকে দূরে রেখে সরকারের সহযোগী হিসেবে মানুষের বিবিধ সুযোগ–সম্ভাবনা তৈরির একটি পাটাতন হিসেবেই তৈরি করতে চেয়েছেন আবেদ। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার সঙ্গে সরকার, দাতা সংস্থা আর বাজারের সংযোগটা তিনি ঘটিয়েছেন নতুন ধারায়, এটিও আলোচনার দাবি রাখে।

নিজের আসন্ন মৃত্যুকেও আবেদ ‘ম্যানেজ’ করেছেন দক্ষ ম্যানেজারের মতো। ২০১৯ সালে তাঁর মস্তিষ্কে জটিল রোগ ধরা পড়ার পর কয়েক মাস আয়ুর কথা বলেছিলেন চিকিৎসক। সেই মাসগুলোর প্রতিটি দিনকে পর্বে ভাগ করে নিয়ে সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কাজে ব্যয় করেছেন আবেদ।

আবেদ ছিলেন মৃদুভাষী, কিন্তু ব্যবস্থাপক হিসেবে কঠোর। ব্রিটিশ রানি তাঁকে স্যার উপাধি দিলেও ব্র্যাকের সবার কাছে তিনি ‘আবেদ ভাই’। এ দেশের কোনো সংগঠনের সবচেয়ে নিম্নস্তরের কর্মচারীটি সংগঠনের সর্বোচ্চ পদের মানুষটিকে ‘ভাই’ বলার রেওয়াজ খুব একটা নেই। অবলীলায় তিনি আবৃত্তি করতেন রবীন্দ্রনাথ, শেক্‌সপিয়ার। গেছেন ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডির ভেতর দিয়ে। তাঁর প্রথম স্ত্রী আয়েশা আবেদ সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যান, মৃত্যুবরণ করেন দ্বিতীয় স্ত্রী শিলু আবেদও। অবশেষে নিজের আসন্ন মৃত্যুকেও আবেদ ‘ম্যানেজ’ করেছেন দক্ষ ম্যানেজারের মতো। ২০১৯ সালে তাঁর মস্তিষ্কে জটিল রোগ ধরা পড়ার পর কয়েক মাস আয়ুর কথা বলেছিলেন চিকিৎসক। সেই মাসগুলোর প্রতিটি দিনকে পর্বে ভাগ করে নিয়ে সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কাজে ব্যয় করেছেন আবেদ।

যে অগণিত মানুষের জীবনকে ব্র্যাক এবং আবেদ ভাই স্পর্শ করেছেন, আমিও তাঁদের ভেতর একজন। জনস্বাস্থ্য গবেষক হিসেবে, লেখক হিসেবে বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনকে জানার জরুরি সুযোগটি আমি পেয়েছি এই সংগঠনে কাজ করার মাধ্যমে। এখন গবেষণা করছি ব্র্যাকের ইতিহাস বিষয়ে। ব্র্যাক ও আবেদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার গল্প তোলা রইল ভবিষ্যতের জন্য।

শাহাদুজ্জামান: ব্র্যাকের সাবেক কর্মী; কথাসাহিত্যিক