সুশাসনের দিকে নতুন যাত্রাপথের সূচনা যেভাবে সম্ভব 

আসিফ এম শাহান

গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলার বড় অদ্ভুত সময় এখন। বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র নিঃসন্দেহে একটা সংকটকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সুইডেনভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ভি-ডেম ইনস্টিটিউটের মতে, গণতন্ত্রের এ সংকট শুরু হয়েছে বেশ আগে থেকেই। 

নব্বইয়ের দশকের শেষ দিক থেকেই গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা স্তিমিত হতে শুরু করে। আর ২০১২ সাল থেকে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকে। ২০১৭-১৮ সাল নাগাদ এসে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় যে কর্তৃত্ববাদ ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে—গণতন্ত্রের ঢেউ তার জায়গা হারাচ্ছে এক নতুন কর্তৃত্ববাদী ঢেউয়ের কাছে। 

২০২১ সালে সারা বিশ্বের ৭০ শতাংশ মানুষ বাস করত কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার অধীন আর ২০২২ সালে এসে এ সংখ্যা দাঁড়ায় ৭২ শতাংশে। যদি গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের কথা চিন্তা করি, তাহলে ২০২৩ সালে এসে আমরা ফিরে গেছি ১৯৮৬ সালে—গত ৩০ বছরের অর্জন বিসর্জন দিয়ে।

গণতন্ত্রের এ পশ্চাৎযাত্রা নিয়ে কোনো সংশয় নেই, কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই জায়গায় আমরা পৌঁছালাম কীভাবে? এমন এক ক্রান্তিকালে আমাদের বসবাস, ৩০ বছর আগেও যা ছিল কল্পনার বাইরে। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে ফিরে তাকানো যাক। ১৯৯১ সালে স্যামুয়েল হান্টিংটন যখন গণতন্ত্রের তৃতীয় ঢেউ নিয়ে লেখেন, গোটা বিশ্ব তখন আশাবাদী ছিল গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা নিয়ে। 

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন আর পূর্ব ইউরোপের বা দক্ষিণ আমেরিকার বহু দেশের গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা সেই আশাকে সুদৃঢ় করছিল। গণতন্ত্র আবির্ভূত হয়েছিল এক পরশপাথর হিসেবে, যা সব সমস্যার সমাধান দেবে, জনকল্যাণ নিশ্চিত করবে, জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার সম-অধিকার নিশ্চিত করবে, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। 

প্রত্যাশার মাত্রা ছিল সীমাহীন, যা কিছু ক্ষেত্রে ছিল গণতন্ত্রের সামর্থ্যের বাইরে আর অনেকাংশেই প্রত্যাশার বাস্তবায়ন ব্যাহত হয় গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে। ৩২ বছর পর আজ নব্বইয়ের দশকের সূচনালগ্নে বাংলাদেশসহ গণতন্ত্র অভিমুখে যাত্রা করা দেশগুলো যখন গণতন্ত্রের সংকটে ভুগছে, তখন সময় এসেছে কিছু পুরোনো প্রশ্নের নতুন করে উত্তর খোঁজা—গণতন্ত্র আসলে কী? কীভাবে এ শাসনব্যবস্থা কাজ করে? গণতন্ত্র কীভাবে বা কোন উপায়ে সুশাসন নিশ্চিত করে?

গণতন্ত্রকে যদি ধরে নিই এমন এক শাসনব্যবস্থা হিসেবে, যার মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছা বা অনিচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে রাষ্ট্রের নীতি প্রণয়নে আর বাস্তবায়নে, তাহলেও কিছু প্রশ্ন থেকে যায়। কার মাধ্যমে জনগণের ইচ্ছার বাস্তবায়ন ঘটবে? কীভাবে ঘটবে? যার বা যাদের মাধ্যমে এই ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটার কথা, তারা ব্যর্থ হলে কী ঘটবে? কীভাবে তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা হবে? 

জনগণ বলতে কি শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকেই বোঝায়? রাষ্ট্র কি শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মতামতেরই প্রতিফলন ঘটাবে? গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেন এবং ঠিক কোন উপায়ে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করবে? প্রশ্নগুলো খুব নতুন কিছু নয়, কিন্তু এর উত্তর খোঁজার অনিচ্ছাই বর্তমান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সংকটের প্রধান কারণ আর এর উত্তরগুলোর মধ্যেই নিহিত আছে সুশাসনের রূপরেখা।

যেকোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ন্যূনতম যে বৈশিষ্ট্যটি থাকা প্রয়োজন, তা হলো অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। নির্বাচন জনগণকে তাদের পছন্দমতো দল বা আদর্শ বেছে নেওয়ার সুযোগ দেয় আর রাজনৈতিক দলগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে ক্ষমতার নিয়মতান্ত্রিক পরিবর্তন দলগুলোকে জনতার চাহিদার প্রতি মনোযোগী করে তোলে। কিন্তু এটাও মনে রাখা প্রয়োজন যে নির্বাচন কেবল গণতন্ত্রের ন্যূনতম শর্তটুকু পূর্ণ করে এবং গণতন্ত্রের স্থায়িত্ব বা সাফল্যের নিশ্চয়তা দেয় না। নির্বাচননির্ভর গণতন্ত্র বরং একটি দুর্বল গণতন্ত্র, যা যেকোনো সময় সংকটে পড়তে পারে। গণতন্ত্রের টিকে থাকা নির্ভর করে গণতন্ত্রকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ওপর।

গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ বলতে আসলে কী বোঝায়? প্রতিষ্ঠানকে যদি সংজ্ঞায়িত করা হয় আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক নিয়ম, রীতিনীতি বা মূল্যবোধ হিসেবে, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা, তাহলে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ বলতে বোঝায় এমন সব আইন, নিয়ম, রীতিনীতি বা সংগঠন তৈরি করা, যা একটি রাজনৈতিক দল বা একজন ব্যক্তিকে শাসনকাঠামোর ওপর পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার ক্ষেত্রে বাধার সৃষ্টি করবে। 

শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্র তাই শাসন বিভাগের সার্বভৌমত্ব আর বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে, যাতে নির্বাহী বিভাগের একচ্ছত্র কর্তৃত্বকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। ক্ষমতার এ ভারসাম্য নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়াও জোর দেওয়া হয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর—একদিকে চেষ্টা করা হয় একটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিনির্মাণের, যাতে রাজনৈতিক দলগুলো সাংবিধানিক মূলনীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পরস্পরের প্রতি সহনশীল থাকে এবং অন্যদিকে নজর দেওয়া হয় কিছু স্বাধীন জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান তৈরি বা শক্তিশালী করার (দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষকের কার্যালয় ইত্যাদি) যাদের মূল দায়িত্ব থাকে শাসন ও বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সহায়তা করা।

গণতন্ত্রের এ প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বিভিন্নভাবে ভূমিকা রাখে। প্রথমত, নির্বাচন যদি চার বা পাঁচ বছর অন্তর জনগণের কাছে রাজনৈতিক দলের জবাবদিহি আর দায়িত্বশীলতার পথ তৈরি করে, তবে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরি করে এটাই নিশ্চিত করতে চায় যে শাসক দল এই চার বা পাঁচ বছরে এমন কোনো নীতি তৈরি করবে না বা এমন কোনো পদক্ষেপ নেবে না, যা শুধু জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষা করবে।

শাসন বিভাগ নির্বাহী বিভাগের প্রতিটি পদক্ষেপকে নজরদারির আওতায় আনবে আর জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠানগুলো এ কাজে সহায়তা করবে। দ্বিতীয়ত, গণতন্ত্রে সব সময়ই একটা শঙ্কা থেকে যায় যে শাসন বা নির্বাহী বিভাগ জনতুষ্টিকে মাথায় রেখে এমন সব নীতি বা আইন প্রণয়ন করবে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠকে সন্তুষ্ট করবে সংখ্যালঘুর অধিকারকে বিসর্জন দিয়ে। ঠিক এই জায়গাতেই ভূমিকা রাখবে স্বাধীন বিচার বিভাগ বা স্বাধীন গণমাধ্যম। 

শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া নাগরিক অধিকার রক্ষা তাই কখনোই সম্ভব নয়। তৃতীয়ত, স্বাধীন বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম বা জবাবদিহির প্রতিষ্ঠানগুলো যেহেতু চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় শাসক দলের একচ্ছত্র কর্তৃত্বের অভিলাষে, তাই এ প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময়ই থাকে শাসক দলের আক্রমণের লক্ষ্য। 

এদের দলীয়করণ করা, স্বাধীনতা খর্ব করার চেষ্টা বজায় থাকে সব সময় আর তাই শাসন বিভাগ এবং নাগরিক সমাজকে সব সময় এদের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করতে হয়। শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলো তাই একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে, আইনের শাসনের একটা অনুমানযোগ্য রূপ দেয় এবং এরই মাধ্যমে রাষ্ট্রে বিরাজমান রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে একটা গ্রহণযোগ্য ক্ষমতাবিন্যাস তৈরি করে।

প্রশ্ন হচ্ছে, ওপরে বর্ণনা করা এমন আদর্শ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কি কোথাও আছে? উত্তর হচ্ছে নেই এবং কোনো দিন হবেও না। সত্যি কথা হচ্ছে, আদর্শ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র একটি ইউটোপিয়া, যা বাস্তবায়ন করা যাবে না। যা করা যাবে, তা হলো, এমন একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা তৈরি করা, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে এবং সেই আদর্শের বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকবে। 

এই আদর্শ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্বাচনযাত্রা শুরুর একটি ধাপ, কিন্তু কখনোই মূল গন্তব্য নয়। নির্বাচন একটি রাষ্ট্রের গণতন্ত্র অভিমুখে যাত্রার সূচনা ঘটায়, যা তিনটি গন্তব্যের যেকোনো একটিতে শেষ হতে পারে। 

স্বাধীন বিচার বিভাগ বা স্বাধীন গণমাধ্যমের মতো শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া নাগরিক অধিকার রক্ষা কখনোই সম্ভব নয়
ছবি: প্রথম আলো

প্রথমত, রাষ্ট্রটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণ বা শক্তিশালী করার বদলে শুধু স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথটিই বেছে নেয়। ফলে জন্ম নেয় এক দুর্বল ভিত্তির গণতন্ত্র, যাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান টিকে থাকে না। এই দুর্বল গণতন্ত্র ব্যর্থ হয় জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে বা তার অর্থনৈতিক স্বাধীনতার পথ করে দিতে। ক্ষমতার পরিবর্তন হয়, কিন্তু রাষ্ট্র সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে না। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ এ পথটিই বেছে নিয়েছিল এবং এ যাত্রার শেষ হয় ২০১৪ সালে। 

কেবল নির্বাচননির্ভর গণতন্ত্র দ্বিতীয় যে পথটি বেছে নেয়, তা হলো কর্তৃত্ববাদের পথ। গণতন্ত্র এই পথের শেষ গন্তব্য নয়, বরং কর্তৃত্ববাদে পৌঁছানোর উপলক্ষমাত্র। এই পথের পথিকেরা নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসেন আর এরপর দুর্বল প্রতিষ্ঠান, আইন বা নীতিকে ব্যবহার করেন ক্ষমতার ভারসাম্য নষ্ট করতে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে দমন করতে, গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে আর ক্ষমতাসীন দল বা ব্যক্তির একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে। 

নব্বইয়ের দশকের সূচনালগ্নে যে দেশগুলোর গণতন্ত্রায়ণ নিয়ে আমরা আশান্বিত ছিলাম, তাদের অধিকাংশই প্রতিষ্ঠান তৈরিতে মনোযোগ দেয়নি। এরা বেছে নিয়েছিল প্রথম পথ আর তারপর সেখান থেকেই তাদের ‘উত্তরণ’ ঘটেছে দ্বিতীয় পথে। বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ববাদের জয়গান এ দেশগুলোর ব্যর্থতারই ফলাফল।

তুরস্ক, ভেনেজুয়েলা, এমনকি হাঙ্গেরি হচ্ছে এ পথেরই পথিক। তৃতীয় পথটি নির্বাচনের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের পথ, প্রতিষ্ঠাননির্ভরতার পথ। এই পথে যাত্রা দুরূহ, কষ্টকর কিন্তু প্রয়োজনীয়। এই পথ সময়সাপেক্ষও বটে। কারণ, প্রতিষ্ঠান তৈরি করলেই সেগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখা শুরু করে না। এই পথে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়, বিরোধ হয়, দর-কষাকষি হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি বিশ্বাসের কারণে সমঝোতাও হয়। 

আদর্শ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়তো গঠিত হয় না, কিন্তু গণতান্ত্রিক আদর্শের দিকে যাত্রাটা চালু থাকে। আর এ গন্তব্যের দিকে পৌঁছানোর চেষ্টাই প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে, সুশাসন নিশ্চিত করে।

গণতন্ত্র অভিমুখে যাত্রায় বাংলাদেশ এখন এক ক্রান্তিকালে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি বেশ জোরেশোরেই উঠেছে এবং এখানে দ্বিমতের সুযোগ একেবারেই নেই। কিন্তু দাবি বা দাবি আদায় যদি শুধু নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে আবারও আমরা ফিরে যাব ১৯৯১ সালে—আবার শুরু করব এক অর্থহীন যাত্রা। দাবিনামায় তাই যুক্ত থাকুক প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের কথাও। সুশাসনের দিকে নতুন যাত্রাপথের সূচনা শুধু তাতেই সম্ভব।

আসিফ এম শাহান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।