আলোর মশাল হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে

করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ চলছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রথম আলো ফাইল ছবি

আস্থা, আর ভালোবাসার নামই তো প্রথম আলো। ১৯৯৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রথম আলোর সঙ্গেই আছি। কারণ একটাই—চোখ বন্ধ করে আস্থা রাখা যায়। দেশের বাইরে আছি পনেরো বছর, এর আগের পুরো সময়টাই প্রথম আলোর সঙ্গে, বন্ধুসভার সঙ্গে। সেই যে আস্থার সম্পর্ক, আজও তা জিইয়ে রেখেছি। পনেরো বছরের প্রবাস জীবনে লিখে যাচ্ছি, দূর পরবাসে ও অন্যান্য পাতায়। কেন লিখছি?

মনে হয়, এটা একটা নেশা, প্রথম আলোর সঙ্গে যেন আত্মার সম্পর্ক। করোনাকালের এই দুঃসময়ে দেশের বাইরে থেকে নিজেদের নিরাপত্তার চিন্তার চেয়ে দেশে থাকা আমার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, সবার চিন্তায় খুব আতঙ্কিত থাকতে হয়েছে। করোনা–সংক্রান্ত প্রথম আলোর নিয়মিত আপডেট, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়–সংশ্লিষ্ট খবর, বিভিন্ন দুর্নীতি সম্পর্কে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের অনুসন্ধানীমূলক প্রতিবেদনগুলো আস্থার জায়গাটিকে আরও পোক্ত করেছে। মনে হয়েছে, কথা বলার, চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার একটাই পত্রিকা। জীবনযাপন বিভাগের লাইফস্টাইল থেকে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কখন কী করতে হবে, কী খেতে হবে, কোথায় যেতে হবে, বিভিন্ন তথ্যসূত্র অনেক কাজে দিয়েছে।

কলাম লেখকদের প্রকাশিত লেখাগুলো থেকেও নির্ভেজাল খবর, আলোচনা-সমালোচনা, প্রকৃত তথ্যচিত্রের মাধ্যমে অনেকটাই নির্ভার থাকতে পেরেছি। আনিসুল হকের গদ্য কার্টুন পড়ে মানসিকভাবে অন্তত ভালো বোধ করেছি। আবার প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনবিষয়ক অধ্যাপক আসিফ নজরুল, প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফারুক ওয়াসিফের বিশ্লেষণধর্মী লেখা, বিশিষ্ট কলামিস্ট, গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ স্যারসহ আরও অনেক গুণী লেখকদের লেখা পড়ে এই দুঃসময়ে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তামুক্ত হয়ে আশাবাদী হতে পারি।

আস্থার জায়গায় একটি পত্রিকা; দেশ ও দেশের মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আলোর মশাল হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তাই–বা কম কিসে!