একটা প্রথম আলো দিন

পেশাগত প্রয়োজনীয়তায় প্রথম আলো জম্মের পর যখন দেশের যে প্রান্তে গিয়েছি, সংবাদপত্রের হকারকে বলেছি, ‘একটা প্রথম আলো দিন।’ তারপর পাতা উল্টেপাল্টে প্রিয় বিষয়, কলাম, রিপোর্ট, ফিচার, ছবি, শিক্ষা এবং সচেতনতামূলক উপস্থাপনা (যদি থাকে) বগলদাবা করতে পারা আমার পরম আনন্দের। প্রথম আলোকে নিয়ে এটা কারোরই আবেগের বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং চোখ বুজে পাঠককে আস্থাবান করতে প্রতিনিয়ত যে নিরলস প্রচেষ্টা প্রথম আলোর, তারই সুযোগ্য ফসল এটি।

করোনাভাইরাস নামক বৈশ্বিক মহামারিতে কী করলে মানুষ নিরাপদ থাকতে পারেন, তার সঠিক দিকনির্দেশনার ‘সবার আগে সর্বশেষ করণীয়’ প্রথম আলোতে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপিত হবে জেনেও বেশ কিছুদিন ধরে আমার সংগ্রহশালা সমৃদ্ধ করতে পারিনি; সংক্রমণের ভয়ে।

তখন পত্রিকার হকাররা পত্রিকা দিচ্ছিলেন না। বলে রাখি, ইন্টারনেট বা অনলাইন দুনিয়ার নাগরিকত্ব নেওয়ার প্রয়োজনবোধ আজও করিনি আমি। তবে করোনাভাইরাসের শুরুতে বিশেষজ্ঞের কলামে প্রথম আলো ‘স্বাস্থ্যবিধি’ উপস্থাপন করে, ‘করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবা থেকে সুরক্ষা পেতে হলে পরস্পর কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্বে অবস্থান করতে হবে, সঠিকভাবে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে এবং চোখ-মুখ ও নাক স্পর্শ করার আগে ক্ষারযুক্ত (কাপড় কাচার) সাবান অথবা মানসম্পন্ন স্যানিটাইজার মেখে দুহাত জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।’ এই বক্তব্যে স্বজন-প্রিয়জন, শুভাকাঙ্ক্ষী ও পরিচিতজনদের সচেতন করে গেছি এবং তা আজও অব্যাহত আছে।

বলে রাখি, আমার কর্মপ্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের সচেতন করার জন্য ‘করোনায় আতঙ্ক নয়, চাই সচেতনতা’ শীর্ষক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আহ্বান করে। আমি প্রতিযোগিতায় পূর্ণ আস্থায় প্রথম আলোর স্বাস্থ্যবিধি চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলি এবং প্রথম পুরস্কার অর্জন করি। সুযোগ্য এবং দায়িত্বশীলতার প্রতি আস্থায় কেউ কখনো পরাজিত হয় না, হবেও না। এ কথা আমার অভিজ্ঞতা থেকেই বলতে পারছি।