অতীশ দীপঙ্কর সঞ্চৃতি কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর
প্রাচীন বিক্রমপুর তথা বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী গ্রামে অতীশ দীপঙ্করের বাস্তুভিটায় গতকাল শুক্রবার ‘অতীশ দীপঙ্কর সঞ্চৃতি কমপ্লেক্স ও স্তুপা প্রকল্পের’ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এর আগে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এম ইদ্রিস আলী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মমতাজ বেগম, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জান, বাংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্মগুরু ধর্মাসেন মহাথেরো, চীনের বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি ভ্যান চুন ওয়াই, সাধারণ সম্পাদক ওয়াং জিয়ান, জেলা প্রশাসক সাইফুল হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ক্রিস্টি প্রচার সংঘের সভাপতি সুদ্ধানন্দ মহাথেরো।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাছান মাহমুদ বলেন, পৃথিবীর একজন শ্রেষ্ঠ মানুষের জন্ম হয়েছিল এই বজ্রযোগিনী গ্রামে। সেই মানুষটি হচ্ছেন অতীশ দীপঙ্কর। বৌদ্ধধর্মের পণ্ডিত। তিনি বলেন, রামুতে বৌদ্ধমন্দিরে নির্বিচারে হামলা করা হয়েছিল। কিছুদিন আগেও দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিরোধীদলীয় নেত্রী তখন এদের পেছনে দাঁড়ানোর জন্য দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিশেষ অতিথি দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘অতীশ দীপঙ্কর এই বজ্রযোগিনী গ্রামের সন্তান। একসময় আমরা শুধু সেটা জেনে আসছিলাম। তাঁকে শনাক্ত করার কোনো নিদর্শন ছিল না। এখন এই গ্রামেই বৌদ্ধবিহার আবিষ্কৃত হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয়, অতীশ দীপঙ্করের জন্ম এখানেই হয়েছিল।’
পরে শিল্পমন্ত্রী রঘুরামপুরে আবিষ্কৃত প্রাচীন বৌদ্ধবিহার পরিদর্শন করেন। বিহারটি আবিষ্কারের নেতৃত্বদানকারী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান সুফি মুস্তাফিজুর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অতীশ দীপঙ্কর বৌদ্ধধর্মের পণ্ডিত ছিলেন। ৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি এই বজ্রযোগিনী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বৌদ্ধধর্ম প্রচার করতেই তিনি চীনে যান। সেখানেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।