অনলাইনে স্বাস্থ্যসেবা দিতে ‘ডিজিটাল হাসপাতাল’

অনলাইনে চিকিৎসকের ভিডিওকলে কথা বলার জন্য ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশানস সারা দেশে ডিজিটাল হাসপাতাল- ‘ইনস্ট্যান্ট ডক্টর ভিডিও কল ও চ্যাট’চালু করেছে।  সরকার নিবন্ধিত এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের দিয়ে এ চিকিৎসা সুবিধা তারা দেবে।

ডিজিটাল হেলথকেয়ার সলিউশানস (ডিএইচ) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য করে তুলতে ডিজিটাল হসপিটাল- একটি ডিজিটাল হেল্থ সার্ভিস ও নতুন অ্যাপ, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা পাচ্ছেন বিভিন্ন ধরণের হেলথ মেম্বারশীপ প্ল্যানের দ্বারা উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও বিভিন্ন অফার। গ্রাহকরা নিজ বাসা থেকে খুব সহজেই ডাক্তারের সঙ্গে চ্যাট, ভিডিও কলের মাধ্যমে পরামর্শ পাবেন। এ ছাড়া থাকছে চিকিৎসা ক্যাশব্যাকের মতো সুবিধা।  বিভিন্ন ধরনের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি প্যাকেজ গুলো রেজিস্ট্রেশনের পর, বাংলাদেশের যে কোন জায়গা থেকেই ব্যবহার করা যাবে। সরকার নিবন্ধিত ও বিশ্বমানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১২০ জনেরও বেশি বিশেষজ্ঞ ও এমবিবিএস ডাক্তার দ্বারা ডিজিটাল হাসপাতালের সেবা দেওয়া হবে।

চিকিৎসা পরামর্শ ছাড়াও ডিজিটাল প্রেসক্রিপশন, ওষুধ ডেলিভারি, বাসা থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে মেডিকেল টেস্টের সুযোগ পাওয়া যাবে ডিজিটাল হসপিটালের হেল্থ পার্টনারদের মাধ্যমে। ডিজিটাল হসপিটালের লক্ষ্য হচ্ছে,  মোবাইলের মাধ্যমে উন্নতমানের চিকিৎসা সেবা সরবরাহ করে স্বাস্থ্যসেবা খাতে পরিবর্তন আনা এবং চিকিৎসা সেবা আরও সহজলভ্য করে দরিদ্র ও গ্রামীণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা খরচ কমিয়ে আনা।

ডিজিটাল হসপিটালের প্রথম প্যাকেজ, ‘আমরা সুরক্ষিত’ তে থাকছে আনলিমিটেড ডাক্তারি পরামর্শ-ডক্টর চ্যাট, ভিডিও কল ও কলের মাধ্যমে এবং এর পাশাপাশি আরও থাকছে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা ক্যাশব্যাক ৬ জনের পরিবার সদস্যের জন্য। এ ছাড়া ১০ হাজার টাকা জীবন বীমা প্রাথমিক সদস্যের জন্য, মাত্র ৯৯ টাকায়। এ ধরনের আরও বেশ কিছু প্যাকেজ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে ডিজিটাল হসপিটালের যেগুলোর ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা ক্যাশব্যাক আছে এবং আরও থাকছে বিভিন্ন ধরণের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারি পরামর্শের ব্যবস্থা।

ডিজিটাল হসপিটালের ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপ এর মাধ্যমে খুব সহজেই যে কেউ প্যাকেজগুলোর জন্য রেজিস্টার করে যে কোন জায়গা থেকে যে কোন সময় নিতে পারবেন ডাক্তারি পরামর্শ।

ডিএইচ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিদ রহমান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের সেবা করা এবং আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের মানুষের জীবনে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে আশাবাদী।’

ক্লিনিকাল অপারেশনস বিভাগের প্রধান চিকিৎসক খালেদ হাসান বলেন, ‘আমরা আমাদের রোগীদের বাড়িতে বসে সহজে উন্নতমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করার চেষ্টা করছি। এটি মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য করে তোলার পাশাপাশি করোনার ভাইরাস সংক্রমণ হ্রাস করতেও সহায়তা করবে। কারণ রোগীদের একেবারে প্রয়োজন ছাড়া হাসপাতালে যাওয়ার দরকার পরবে না।’