অনেক দানার বেদানা

বেদানা
বেদানা

একটা সময় অভিজাতমহলে দারুণ কদর ছিল বেদানার। তখন ফলটা এত সহজলভ্যও ছিল না। ফলের ঝুড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে বেদানা সাড়ম্বরেই তখন জায়গা করে নিত। এখন বেদানা সহজলভ্য। প্রায় সব ফলের দোকানেই পাওয়া যায়। দেখতে সুন্দর এই ফল কি শুধু দর্শনধারী, নাকি গুণবিচারীও? জানতে চেয়েছিলাম খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক আলেয়া মাওলার কাছে। তিনি বলেন, ফলটা শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিগুণেও অনন্য। এতে আছে প্রচুর খনিজ। তাই যাদের রক্তশূন্যতা আছে, তাদের জন্য খুব ভালো। এ ছাড়া আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ ভিটামিন এ, সি, ই প্রভৃতি পুষ্টি উপাদান।

আসুন, জেনে নেওয়া যাক, কী কী রোগের বিরুদ্ধে বেদানা কাজ করে অনায়াসে।

হূৎস্বাস্থ্যের জন্য: বেদানার রস হূৎপিণ্ডের মাংসপেশিতে দ্রুত অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও হূদেরাগ প্রতিরোধেও এটি কার্যকর। এক গবেষণায় দেখা গেছে, টানা তিন মাস নিয়ম করে বেদানার রস খেলে হূৎস্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়।

ঠান্ডা-কাশিতে: ঠান্ডায় আক্রান্ত হলে বেদানার রস খেতে পারেন। যখন খুব কাবু হয়ে যাবেন ঠান্ডায়, সারা দিন ধরে একটু একটু করে বেদানার রস খেয়ে নিন। দিন শেষে পার্থক্যটা নিজেই বুঝবেন।

দাঁত সুরক্ষায়: বেদানায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট দাঁতে প্লাক জমতে বাধা দেয়। এ ছাড়া মাড়ির জিনজিভাইটিস রোগ প্রতিরোধেও বেদানার ভূমিকা অপরিসীম। তাই দাঁত সুরক্ষায় বেদানা খান।

ত্বক সুরক্ষায়: বেদানা ত্বকে সুরক্ষা বন্ধনী তৈরি করে। ত্বকে নতুন কোষ উৎপাদনকারী উপাদান থাকে বেদানায়। এ ছাড়া চোখের নিচে পড়া বয়সের ছাপ দূর করতে পারে এ ফল।

হাড়ের জন্য: বেদানায় আছে পটাশিয়াম ও পলিফেনল, যা হাড় ও হাড়ের সংযোগস্থলের কার্টিলেজের জন্য খুব উপকারী। তাই নিয়মিত বেদানা খেলে অস্টিওপোরেসিসসহ হাড়ের নানাবিধ রোগ এড়ানো যায়।