‘অপকর্ম ঢাকতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রোজিনাকে নির্যাতন করে’

নিজেদের অপকর্ম ঢাকতেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পরিকল্পিতভাবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় আটকে রেখে নির্যাতন করেছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক নিম্নপদস্থ নারী রোজিনার গলা চেপে ধরেছেন; তাঁকে নানাভাবে হেনস্তা করেছেন। এটা গোটা সাংবাদিকতা পেশার জন্য অশনিসংকেত। তাঁরা এ ধরনের ঘটনার তীব্র নিন্দাসহ হেনস্তাকারী সরকারি আমলাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।

শুক্রবার সকালে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা থেকে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়।

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল থেকেই উপজেলা পরিষদের সামনে জড়ো হতে থাকেন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমের সাংবাদিকেরা। এরপর বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে রোজিনাকে হেনস্তার প্রতিবাদ করেন তাঁরা। তাঁদের সমর্থন জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন কাপাসিয়া সাংস্কৃতিক পরিষদের সদস্য ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।

কাপাসিয়া উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হুদার সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সাংবাদিক সঞ্জিব কুমার দাস, শেখ সফিউদ্দিন জিন্নাহ, আবদুল কাইয়ুম, নূরুল আমিন, সাইফুল ইসলাম, এফ এম কামাল হোসেন, মো. মজিবুর রহমান, আকরাম হোসেন, কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম, কাপাসিয়া সেন্ট্রাল কলেজের পরিচালক ইকবাল হায়দার, শিক্ষকনেতা আশরাফুল আলমসহ অন্যরা।

মানববন্ধন থেকে আরও বলা হয়, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম সরকারের চোখে আঙুল দিয়ে দুর্নীতির চিত্র দেখিয়ে দিয়েছেন। তবু দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টা তাঁকেই কারাগারে পাঠানো হলো। এ ঘটনায় জাতির বিবেক সাংবাদিকেরাসহ সর্বস্তরের মানুষ আজ স্তম্ভিত, বিস্মিত ও আতঙ্কিত। মানববন্ধন শেষে সাংবাদিক নেতারা ইউএনও ইসমত আরার কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন।