অভিবাসীদের উন্নয়ন বাজেটে রেমিট্যান্সের ১০% বরাদ্দ চায় ওকাপ

অনিরাপদ ও অস্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক অভিবাসী কর্মী বিদেশে গিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ বা বেতন কোনোটাই পান না।
ফাইল ছবি

আগামী বাজেটে অভিবাসীদের উন্নয়নে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ১০ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রাম (ওকাপ)। তারা বলছে, প্রবাসী আয় দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখলেও অভিবাসী কর্মীদের অধিকার, কল্যাণ ও সুরক্ষার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়।

আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চারটি দাবির কথা জানিয়েছে তৃণমূল অভিবাসী সংগঠন ওকাপ। তারা বলছে, অভিবাসী কর্মীদের জন্য বরাদ্দকৃত উন্নয়ন বাজেটের পরিমাণ ১ শতাংশের কম। গত কয়েক বছরের জাতীয় বাজেট বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছে তারা।

ওকাপের দাবির মধ্যে আরও আছে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মীদের, বিশেষ করে নারী অভিবাসী কর্মীদের জাতীয় ‘সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনীতে’ অন্তর্ভুক্ত করে মাসিক ভাতা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষার জন্য ‘সোশ্যাল বেনিফিট’ নিশ্চিত করতে ‘প্রভিডেন্ট ফান্ড’ চালু করতে হবে। প্রবাসী আয়ের ওপর প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।

ওকাপ বলছে, অনিরাপদ ও অস্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক অভিবাসী কর্মী বিদেশে গিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ বা বেতন কোনোটাই পান না। অনেক নারী অভিবাসী গৃহকর্মী বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফেরত আসেন। বেশির ভাগ অসুস্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশফেরত অভিবাসী কর্মী টাকার অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে পারেন না। অভিবাসনের জন্য নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে না পারা কিংবা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পেরে ফিরে আসা অনেক অভিবাসী কর্মী সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বিষহ জীবনযাপন করেন।

করোনা মহামারির কারণে কাজ হারিয়ে ইতিমধ্যে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী দেশে ফেরত আসতে বাধ্য হয়েছেন। এর প্রায় ৬৩ শতাংশ অভিবাসী কর্মীকে পাওনা বেতন, বোনাস বা গ্র্যাচুইটি না দিয়েই সম্পূর্ণ শূন্য হাতে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।