অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে কিছু কর্মকর্তাকে ওএসডি রাখা হয়েছে

দুর্নীতির অনুসন্ধান ও বিভাগীয় অভিযোগ তদন্তের স্বার্থে প্রশাসনে কিছু কর্মকর্তাকে ওএসডি রাখা হয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সংস্থাপন ও প্রশাসন-বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে দুদকের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয় পাঠাগারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ ইঙ্গিত দেন। প্রধানমন্ত্রীর সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান ও সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইকবাল মাহমুদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় কাউকে পদোন্নতি, নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে না দাবি করে উপদেষ্টা বলেন, স্বাধীনতার প্রতি আনুগত্য, দক্ষতা ও যোগ্যতা বিবেচনা করেই পদোন্নতি ও নিয়োগ করা হচ্ছে। সাবেক জোট সরকারের মন্ত্রীদের পিএস ছিলেন, এমন সাতজন কর্মকর্তা এখনো সচিব রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। দলীয় রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত কর্মকর্তাদের তালিকা প্রত্যাখ্যান করে উপদেষ্টা বলেন, সরকার এমন কোনো তালিকা তৈরি করেনি। তিনি বলেন, ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার এক দিনে ৪৪ জন কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক বিবেচনায় চাকরিচ্যুত করেছিল। অনেককে নিগৃহীত, বঞ্চিত করেছিল। এ সরকার এসব কিছুতে বিশ্বাস করে না। এ সরকার এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরিচ্যুত করেনি।উপদেষ্টা এ ধরনের মনগড়া তালিকা প্রকাশ করে প্রশাসনে বিভাজন তৈরির অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকতে সবাইকে অনুরোধ করেন। ১১ জন সচিবসহ অনেক কর্মকর্তাকে ওএসডি করে কেন বসিয়ে টাকা দেওয়া হচ্ছে, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অকারণে কাউকে ওএসডি করা হয়নি। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ তদন্তে দুদকে তাঁদের তালিকা দেওয়া হয়েছে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। উপদেষ্টা জানান, জোট সরকারের পাঁচ বছরে বিভিন্ন সময়ে ৮১ জন সচিব, ২৫৯ জন অতিরিক্ত সচিব, ৭৩৯ জন যুগ্ম সচিব এবং দুই হাজার ১২ জন উপসচিবসহ তিন হাজার ৯১ জনকে ওএসডি থাকতে হয়েছে। তবে কোন পর্যায়ের কর্মকর্তা কত দিন ওএসডি ছিলেন, সে তথ্য দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে বর্তমান সরকারের গত নয় মাসে ১১ জন সচিব, ৫৮ জন অতিরিক্ত সচিব, ৯৫ জন যুগ্ম সচিব এবং ৮৭ জন উপসচিবসহ মোট ২৫১ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি রাখা হয়েছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, সরকারের মূলকেন্দ্রে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সময় রাজনৈতিক বিবেচনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তা সব পদের ক্ষেত্রে করা হয় না।