অযত্ন-অবহেলায় বধ্যভূমি

>
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামের ইন্দুবাড়ি গাবতলা বধ্যভূমিটি সংরক্ষণ না করায় দখল হয়ে গেছে। বধ্যভূমির জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন সাবেক সাংসদ l ছবি: প্রথম আলো
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামের ইন্দুবাড়ি গাবতলা বধ্যভূমিটি সংরক্ষণ না করায় দখল হয়ে গেছে। বধ্যভূমির জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন সাবেক সাংসদ l ছবি: প্রথম আলো
বধ্যভূমি নিয়ে পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তৈরি করা প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ‘বধ্যভূমির এ কী হাল!’ শিরোনামে প্রথম আলোতে গত রোববার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর প্রথম আলোর নিজস্ব অনুসন্ধানে অন্তত ২২টি বধ্যভূমিতে অযত্ন-অবহেলা ও অব্যবস্থাপনার চিত্র ধরা পড়ে। কোথাও বধ্যভূমির জায়গায় গড়ে উঠেছে পাকা স্থাপনা। ধান শুকাতে দেওয়া হয়, আবার গরু-ছাগলও চরে বেড়াতে দেখা যায় কোথাও কোথাও

সারা বছর অযত্ন–অবহেলায় পড়ে থাকে বধ্যভূমি। ঝোপঝাড়ে ছেয়ে যায়। গরু-ছাগল চরে বেড়ায়। রাতে বসে মাদকাসক্তদের আড্ডা। কোনোটির নেই সীমানাপ্রাচীর, নেই স্মৃতিফলক। বধ্যভূমি দখল করে ইটভাটা ও অবৈধ স্থাপনাও তৈরি হয়েছে।
গতকাল সোমবার ও পরশু প্রথম আলোর পক্ষ থেকে দেশের অন্তত ২২টি বধ্যভূমি সরেজমিনে ঘুরে এসব চিত্র পাওয়া গেছে। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস সামনে এলে এসব বধ্যভূমি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। অন্য সময় কেউ খোঁজ নেয় না।
বধ্যভূমির ওপর ইটভাটা: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার চকদুলুতে বন কেটে বধ্যভূমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ইটভাটা। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে এ বধ্যভূমি। গতকাল দুপুরে লিয়াকত আলী সরকার নামের এক ব্যক্তির ওই ইটভাটায় শ্রমিকদের কাজ করতে দেখা যায়। নারায়ণপুর গ্রামের কৃষক মণীন্দ্র নাথ সরকার (৫৫) বলেন, গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে বধ্যভূমিটি সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বহুবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু কাজ হয়নি। প্রায় ১৫ বছর আগে ইটভাটা করে বধ্যভূমিটি নিশ্চিহ্ন করা হয়।
নবাবগঞ্জ বন বিভাগের কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার বলেন, বন কেটে ফেলায় লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা রয়েছে। ইটভাটাটি উচ্ছেদের জন্য বহুবার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. দবিরুল ইসলাম বলেন, বধ্যভূমিটি বনভূমির জায়গা হওয়া সত্ত্বেও প্রভাবশালীরা ইটভাটা করেছেন। ২০০৪ সালে এটি উদ্ধার করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়। পরের বছর সেনাবাহিনীর একটি দল তাঁকে নিয়ে বধ্যভূমিটি পরিদর্শন করে। কিন্তু এরপর আর কিছুই হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বজলুর রশীদ বলেন, নবাবগঞ্জে তিনটি বধ্যভূমি সংস্কারের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তবে ইটভাটার নিচে বধ্যভূমি রয়েছে, তা তাঁর জানা নেই।

মুক্তিযুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যার কথা মনে করিয়ে দেয় খুলনার ডুমুরিয়ার চুকনগরের এই স্থানটি। স্মৃতিবিজড়িত সৌধটি পড়ে আছে অবহেলায় l প্রথম আলো
মুক্তিযুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যার কথা মনে করিয়ে দেয় খুলনার ডুমুরিয়ার চুকনগরের এই স্থানটি। স্মৃতিবিজড়িত সৌধটি পড়ে আছে অবহেলায় l প্রথম আলো

বধ্যভূমির জায়গায় পাকা স্থাপনা: পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার সোহাগদল গ্রামের ইন্দুবাড়ি গাবতলা বধ্যভূমিটি দখল হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বধ্যভূমির জায়গাটিতে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন সাবেক সাংসদ শাহ আলম। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক একজন কমান্ডার বলেন, একাত্তরে ইন্দুবাড়ি গাবতলা বধ্যভূমিটির জমিটি হিন্দুদের ছিল। ইন্দেরহাট বাজার–সংলগ্ন কলেজ সড়কের পাশে একটি ডোবা ছিল। পাকিস্তানি সেনারা ১০ থেকে ১২ জন মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে ডোবার মধ্যে লাশ ফেলে দেয়। জায়গাটি বধ্যভূমি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলেও সংরক্ষণ করা হয়নি। পরে সাবেক সাংসদ শাহ আলম বধ্যভূমির জমিটি কিনে সেখানে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেন।
ইন্দুবাড়ি গাবতলা বধ্যভূমির ওপর নির্মিত দুই কক্ষের পাকা স্থাপনাটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সেখানে কোয়ালিটি ফিডস লিমিটেড ও জামান টেকনোলজি নামের দুটি দোকান রয়েছে। ইউএনও মো. আবুল কালাম তালুকদার বলেন, ‘ইন্দুবাড়ি গাবতলা বধ্যভূমি সম্পর্কে আমার ভালো জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।’ শাহ আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
অযত্ন-অবহেলায় স্মৃতিস্তম্ভ: গতকাল খুলনা শহর থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার পশ্চিমে ডুমুরিয়া উপজেলাধীন আটলিয়া ইউনিয়নের চুকনগরে গিয়ে সেখানে বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ দেখা যায়। কিন্তু কোথাও নামফলক বা সাইনবোর্ড নেই। স্মৃতিস্তম্ভের বেদির পেছনের অংশে বড় একটি ফাটল রয়েছে। এক পাশের এক সারি ইট উঠে গেছে। সীমানাপ্রাচীরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনার একটি বড় অংশ সম্পূর্ণ ভাঙা। প্রাচীরের এক কোনায় পড়ে আছে বেশ কিছু ফেনসিডিলের বোতল ও সিগারেটের প্যাকেট।
উপজেলা প্রশাসন ও চুকনগর গণহত্যা ১৯৭১ স্মৃতিরক্ষা পরিষদের উদ্যোগে এখানে গণহত্যার দিন ২০ মে, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসে ফুল দেওয়ার মতো ছোটখাটো অনুষ্ঠান হয়। শিল্পকলা একাডেমি কয়েক বছর ধরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান করছে।

অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে ময়মনসিংহ শহরের থানা ঘাট এলাকার এই বধ্যভূমি। বধ্যভূমির পাশে অবৈধভাবে একটি ঘর বানিয়েছিল স্থানীয় লোকজন, যা পরে উচ্ছেদ করা হয়। এখন সেখানে ভ্যানগাড়ি রাখেন শ্রমিকেরা। ​চরে বেড়ায় গরু–ছাগল l প্রথম আলো
অযত্ন-অবহেলায় পড়ে আছে ময়মনসিংহ শহরের থানা ঘাট এলাকার এই বধ্যভূমি। বধ্যভূমির পাশে অবৈধভাবে একটি ঘর বানিয়েছিল স্থানীয় লোকজন, যা পরে উচ্ছেদ করা হয়। এখন সেখানে ভ্যানগাড়ি রাখেন শ্রমিকেরা। ​চরে বেড়ায় গরু–ছাগল l প্রথম আলো

মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ৪২ ফুট উঁচু স্তম্ভ: রাজশাহীতে কংক্রিটে ঘেরা গোলাকার বেদির মাঝে একটি কূপ। কূপের মাঝে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ৪২ ফুট উঁচু স্তম্ভ। মিনারের জায়গায় জায়গায় কিছু ইট খুলে পড়ে আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হল থেকে পূর্ব দিকে অবস্থিত এই বধ্যভূমি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালের ২৩ এপ্রিল একটি গণকবরের ওপর স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করা হয়। সে সময় মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম এবং স্থানীয় জেবর মিয়া গণকবরটি খনন করেন। মৃত্যুকূপ থেকে বেরিয়ে আসে হাজারো মানুষের মাথার খুলি ও কঙ্কাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল খালেক বলেন, ১৯৯৭ সালে বধ্যভূমি এলাকার সংস্কারকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কিন্তু কিছুদিন পর স্বাধীনতাবিরোধীরা ধ্বংস করে দেয়। ১৯৯৮ সালে আবারও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। বিভিন্ন পর্যায়ে ধাপে ধাপে কাজ শেষে ২০০৪ সালে এসে বধ্যভূমিটি বর্তমান রূপ পায়।
১০ বছরেও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি: রংপুর নগরের দখিগঞ্জ বদ্ধভূমিতে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভটি আংশিক নির্মাণের ১০ বছরেও তা পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। তা এখন ময়লা ও ঝোপজঙ্গলে ছেয়ে গেছে। ১০ জন বুদ্ধিজীবীকে এ বধ্যভূমিতে ধরে এনে হত্যা করা হয়। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, মাহিগঞ্জ যাওয়ার পথে প্রধান সড়কের পাশে অসম্পূর্ণ অবস্থায় এটি পড়ে আছে। এখানে ঝোপজঙ্গল হয়েছে। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার পাঁচপীর ইউনিনের ইসলামপুর এলাকার ঢাপঢুপ বিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হিন্দু পুরুষকে এ বিলে হত্যা করা হয়। এই ভয়াল স্মৃতিকে ধরে রাখতে ঢাপঢুপ বিলের পাড়ে ২০১১ সালে জেলা পরিষদের অর্থায়নে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়। কিন্তু আজও স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরের সরকারি অর্থায়নে শমশেরনগর-কুলাউড়া সড়কের বিমানবন্দর এলাকায় বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছিল। পরে এর পাশেই আরেকটি সম্মুখ সমর স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়। বছরে স্বাধীনতা দিবস আর বিজয় দিবস উপলক্ষে এ বধ্যভূমি পরিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া সারা বছর ঝোপঝাড় থাকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলা সদর রহনপুরে পুনর্ভবা নদীর তীরে রয়েছে জেলার বড় বধ্যভূমিগুলোর একটি ‘রহনপুর গণকবর’। ২০১৩ সালে সেনাবাহিনীর ১১ পদাতিক ডিভিশন দৃষ্টিনন্দন স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে। গত রোববার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, স্মৃতিসৌধের পাকা ঢালাইয়ে নির্মিত পাদদেশে শিশুরা ক্রিকেট খেলছে। গোবর শুকানো হচ্ছে। মূল স্মৃতিসৌধেও মেলে দেওয়া আছে নারকেলের খোসা।
রাজবাড়ী শহরের লোকোশেড এলাকায় বধ্যভূমিটিতে ধান, গম, কাপড়, লাকড়ি, গোবর শুকানো হয়। গরু, ছাগল চরানো হয়। আলোর ব্যবস্থা নেই। রাতে মাদকাসক্তদের দখলে চলে যায় এলাকাটি। গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, রাজবাড়ী শহরের রেলস্টেশনের পূর্ব দিকে প্রায় আধাকিলোমিটার দূরের এই বধ্যভূমিতে চুনকাম করছেন দুলাল প্রামাণিক ও সিদ্দিক সরদার নামে দুজন শ্রমিক। পাশে হযরত আলী নামে আরেকজন শ্রমিক আগাছা পরিষ্কার করছেন। বধ্যভূমির বেদিতে ধান শুকাতে দিয়েছেন স্থানীয় এক নারী। বেদির নিচে সবুজ চত্বরে আগাছা।
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের বংশীপাড়া বধ্যভূমিতে গরু চরতে দেখা গেছে। তবে গতকাল সকাল নয়টা থেকে স্থানীয় লোকজন ও ১০ নারী শ্রমিক স্মৃতিস্তম্ভ এবং এর আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন করেন।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুখুরী ইউনিয়নের জাঠিভাঙ্গা বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে শুকানো হচ্ছে ধান l প্রথম আলো
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শুখানপুখুরী ইউনিয়নের জাঠিভাঙ্গা বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে শুকানো হচ্ছে ধান l প্রথম আলো

ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার শুখানপুখুরী ইউনিয়নের জাঠিভাঙ্গা বধ্যভূমির চারদিকে সীমানাপ্রাচীর রয়েছে। ফটকটিও বেশ সুরক্ষিত। কিন্তু স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে ধান শুকানো হচ্ছে। স্মৃতিসৌধের কোথাও গণহত্যার বর্ণনা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, সন্ধ্যা হলেই এখানে বখাটেদের আড্ডা বসে।
নরসিংদীর দত্তপাড়ার গান্ধীর ঈদগাহ মাঠ বেশ পরিচিত একটি নাম। ঈদগাহ মাঠটি মেঘনা নদী লাগোয়া। গণহত্যার জন্য পাকিস্তানি বাহিনী নরসিংদীর পুরো জেলায় যে কটি স্থান বেছে নিয়েছিল, এর মধ্যে এটিও একটি। বধ্যভূমি লাগোয়া মহল্লা দত্তপাড়ার বাসিন্দা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হাবিবুর রহমান বলেন, পুরো যুদ্ধের সময় স্থানটিতে গণহত্যা চালানো হয়। কিন্তু ঠিক কত মানুষকে এখানে হত্যা করা হয়, তা নির্ণয় করা যায়নি। এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ পর্যন্ত নেই।
জয়পুরহাটে তিনটি, কুড়িগ্রামে একটি, বাগেরহাটে একটি, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, ঝিনাইদহ ও মানিকগঞ্জে বধ্যভূমিতেও অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখা গেছে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা]