অর্থদণ্ডের বিধান রেখে প্রেস কাউন্সিল আইনের খসড়া নিয়ে বিএফইউজের উদ্বেগ

অর্থদণ্ডের বিধান যুক্ত করে সংশোধিত প্রেস কাউন্সিল আইনের খসড়া নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন। সংগঠনের সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়া সাংবাদিক সংশ্লিষ্ট যেকোনো আইনের পরিবর্তন, পরিমার্জন ও সংশোধন সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না। এই আইনের খসড়া নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

দ্য প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট, ২০২২-এর খসড়ায় সোমবার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এটি সংসদে পাস হলে প্রেস কাউন্সিল অর্থদণ্ড দেওয়ারও ক্ষমতা পাবে। এখন কেবল তিরস্কার করার ক্ষমতা আছে সংস্থাটির।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সভার সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখন ১৯৭৪ সালের অ্যাক্ট আছে। সেটিই সংশোধন আকারে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মূল বিষয় হলো সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার মানোন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসাংবাদিকতা দূর করার লক্ষ্যে কাউন্সিল রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, নৈতিকতা ইত্যাদি ক্ষুণ্ন বা ভঙ্গের দায়ে অর্থদণ্ড দিতে পারবে বলে বিধান রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অমান্যের দায়েও অর্থদণ্ড করা যাবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এ বিষয়ে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রিসভা সেটি রাখেনি। অর্থাৎ অর্থদণ্ড থাকবে, কিন্তু টাকার পরিমাণটি বাদ দেওয়া হয়েছে। এ জরিমানার অর্থ সংবাদ প্রতিষ্ঠানকে (নিউজ এজেন্সি) দিতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রেস কাউন্সিলের আদেশ সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় প্রকাশের বিধান নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হানিকর বা বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের আচরণবিধি মালার পরিপন্থী কোনো সংবাদ, প্রতিবেদন, কার্টুন, ছবি ইত্যাদি প্রকাশের দায়ে কাউন্সিল কোনো সংবাদপত্র বা সংবাদ সংস্থার বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিতভাবে অপরাধ আমলে নিতে পারবে।

বিএফইউজের দুই শীর্ষ নেতা বিবৃতিতে মন্ত্রিসভায় যে খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তা সাংবাদিক সংগঠনকে দেওয়ার দাবি জানান। তাঁরা বলেন, প্রেস কাউন্সিলের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সাংবাদিককে নয়, সংবাদমাধ্যমকে তিরস্কার করার বিধান রয়েছে। আইনের সংশোধন করে এখন অর্থদণ্ড করার বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। এই অর্থদণ্ড কী এবং কাকে করা হবে অথবা আর কোন কোন পরিবর্তন করা হয়েছে—এসব বিষয়ে সাংবাদিক সংগঠন অবগত নয়। অবিলম্বে আইনের খসড়া নিয়ে উন্মুক্ত আলোচনার দাবি জানান তাঁরা।

আরও পড়ুন