অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সাংসদের ভূমিকা অনেক: স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী
ফাইল ছবি

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সংসদ সদস্যদের ব্যাপক ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। সংসদ সদস্যরা ব্যক্তিগতভাবে ও দলগতভাবে এই দায়িত্ব পালন করতে পারেন। জনসচেতনতা সৃষ্টি করাই প্রতিরোধের প্রধান উপায়।

আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সংসদ সদস্যদের ভূমিকাবিষয়ক এক সেমিনারে শিরীন শারমিন চৌধুরী এ কথা বলেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে। দেশি-বিদেশি স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও কয়েকজন সংসদ সদস্য অনলাইনে এই সেমিনারের সঙ্গে যুক্ত হন। প্রধান অতিথি শিরীন শারমিন চৌধুরী অনলাইনে সেমিনারে যুক্ত হন। সেমিনারে ১৪ জন সংসদ সদস্য বক্তব্য দেন।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, কোভিডে কত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তা প্রতিদিন মানুষ জানতে চায়। কিন্তু হৃদ্‌রোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিসে কত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তা জানার চেষ্টা নেই। এ বিষয়ে কতটা সচেতনতা আছে, তা বড় প্রশ্ন। অসংক্রামক রোগ সীমার মধ্যে রাখতে হলে প্রতিরোধের জায়গা সুসংহত করতে হবে।

জনসাধারণকে সচেতন করতে জনপ্রতিনিধিদের বড় ভূমিকা আছে উল্লেখ করে ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের অনারারি সভাপতি গ্যাব্রিয়েলা কুয়েভাস ব্যারন বলেন, অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সংসদ সদস্যদের দুটি সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালনের সুযোগ আছে। প্রথমত, তাঁরা আইন প্রণয়ন ও পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারেন। দ্বিতীয়ত, তাঁরা বাজেট বরাদ্দে তথা বাড়াতে কাজ করতে পারেন। স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে নজরদারি বাড়াতে ও মূল্যায়ন করতে সাংসদেরা যুক্ত হতে পারে। গ্যাব্রিয়েলা কুয়েভাস ব্যারন মেক্সিকো থেকে অনলাইনে সেমিনারে যুক্ত হন।

সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের এপিডেমিওলজিস্ট অ্যান্ড রিসার্চ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী।

তিনি বলেন, দেশে মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ হচ্ছে অসংক্রামক ব্যাধিতে। এর মধ্যে প্রধান রোগ হচ্ছে হৃদ্‌রোগ, ক্যানসার, দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ ও ডায়াবেটিস।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংসদ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের সভাপতি করেন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবে মিল্লাত।